[ad_1]
যাঁরা ‘সত্য’ বিশ্বাস করতে চান না, তাঁরা এখন আর নিজেকে মিথ্যার পথে আছেন বলে মনে করেন না; ভাবেন তাঁরা আছেন সত্যের (অলটারনেটিভ ফ্যাক্ট বা ট্রুথ) সঙ্গেই। অনেকেই বরং প্রতিষ্ঠিত সত্যকেই উড়িয়ে দিতে চান এখন। কারণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ‘ইকো-চেম্বারে’ এখন যে কেউ ‘আরামদায়ক সত্য’ পেতে পারেন খুব সহজেই। আর ভারতের ক্ষেত্রে দেখতে পাচ্ছি এই প্রবণতা আর মোটেও সীমাবদ্ধ নেই শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষেত্রে—আগ্রাসীভাবে ছড়িয়ে পড়েছে মূলধারার মাধ্যমেও।
শুরু করেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইউটার্ন নিয়ে। আমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছি ভারতের মূলধারার মিডিয়া ক্রমাগত যে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনা পতনের পর থেকে, তাতে ভারতীয়দের মধ্যে এই বিশ্বাস ভিত্তি পেয়েছে—বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপরে একেবারে পরিকল্পিতভাবে ক্রমাগত হামলা এবং অত্যাচার হচ্ছে। অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করছেন রিলিজিয়াস ক্লিনজিংয়ের বয়ানও।
এ রকম একটা চরমপন্থী, বিভক্তি সৃষ্টিকারী, পরিচয়বাদী রাজনৈতিক পরিবেশে ভোটের রাজনীতি করা রাজনীতিবিদদের সামনে ক্রমাগতভাবে চরমপন্থী হয়ে ওঠার ঝুঁকি তৈরি হয়। বাংলাদেশকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরম আপত্তিকর মন্তব্যটির কারণ সম্ভবত এটিই।
বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারতের সরকার, মিডিয়া এবং রাজনীতির সাম্প্রতিক প্রতিক্রিয়া আমাদের সামনে এই আলাপও নিয়ে এসেছে, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে ভারত কি সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেটা মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল তো বটেই, ভারতের জন্যও ভালো হবে? এই প্রশ্নের উত্তরও নিশ্চয়ই খুঁজব আমরা।
[ad_2]
Source link