[ad_1]
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমরা বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই র পুনরুত্থান চাই না। ছাত্র, শ্রমিক, জনতার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতেই হবে। আমরা যদি জনগণের স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করতে চাই, আর কাউকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে দেখতে না চাই, তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত ‘ভাসানীর পথ ধরে জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হোন’ শীর্ষক কেন্দ্রীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফ্যাসিস্টরা নানাভাবে এখনও ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, যার অধীনে স্বৈরাচারী শাসন চালিয়েছে, তারাও চায় যে কোনোভাবে এই দেশের ক্ষমতা তাদের হাতে থাকুক। এই কারণে আমরা আপনাদের বলি, অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক শক্তি সংহত করতে হবে। অভ্যুত্থান যদি সফল করতে হয়, যে অভ্যুত্থান এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে নতুন রাষ্ট্র নির্মাণ, নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নির্মাণ তবে তার শক্তি আপনাদের সংহত করতে হবে। আমরা গণসংহতি আন্দোলন বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য, দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। মাওলানা ভাসানী বলেছেন, জনগণের সংগ্রাম পারমাণবিক বোমার চাইতেও শক্তিশালী।
তিনি বলেন, তিন মাস হয়ে গেছে, মানুষ আর বেশিদিন আপনাদের সময় দিবে না। অবিলম্বে সমস্যার সমাধান চায়। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। দ্রব্যমূল্য কমান, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন। আর সমস্ত রাজনৈতিক দল, শিক্ষার্থী, শ্রেণি পেশার অংশীজনদের নিয়ে একসাথে বসে এই রাষ্ট্রের রুপান্তর সংস্কার নতুন বন্দোবস্ত আর আগামীদিনের নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। এটা বাংলাদেশের মানুষ এখন চায়। মানুষের চাওয়া অনুযায়ী আপনাদের চলতে হবে। এটা পরিষ্কার মনে রাখবেন।
দলটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, মওলানা ভাসানী এই অঞ্চলের মজলুম বিশেষত কৃষকদের রাজনীতির মূলধারায় নিয়ে এসেছেন। তিনি উপমহাদেশের রাজনীতিতে গণমুখী ধারাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু, এরপর তিনি বাংলা ও আসামের কৃষক আন্দোলন, পাকিস্তান আন্দোলন, বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীন দেশে লুণ্ঠন, চোরাকারবারির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, দুর্ভিক্ষাবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় ফারাক্কা মার্চের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এসব আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংগ্রামের গতিমুখ নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- দলটির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমি, মনির উদ্দীন পাপ্পু এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, ফাল্গুনী সরকার, জুলহাসনাইন বাবু, মুরাদ মোর্শেদ, দীপক রায়, দীপক রায়, তরিকুল সুজন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অঞ্জন দাস, সৈকত মল্লিক প্রমুখ।
[ad_2]
Source link