এ বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, দেশজুড়ে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বিভিন্ন স্থানে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। অনেক মানুষ জানেন না, কোথায় আসলে এই অপরাধের বিচার চাইতে হবে। অনেকেই এই ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠিত হওয়ার আগে বিভিন্ন থানায় গিয়ে মামলা করেছেন। অনেকেই মামলা করতে পারেননি ভয়ে। অনেক জায়গায় স্থানীয় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি মামলাটি তাঁদের পক্ষ হয়ে নিজেরা দায়ের করেছেন, অসংখ্য নিষ্পাপ লোককে মামলায় পক্ষভুক্ত করেছেন। ভুয়া মামলা করেছেন, মামলায় নাম ঢুকিয়ে তাঁদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করেছেন—এ ধরনের অভিযোগ নানাভাবে এসেছে।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, এই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের এখতিয়ার শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের। এই মামলার অভিযোগুলোর তদন্তের দায়িত্ব ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনের। সুতরাং দেশের যেসব থানায় যত মামলা হয়েছে, কোনো মামলার কোনো তদন্ত ওই পুলিশ করতে পারবে না। কোনো ম্যাজিস্ট্রেট আদালতও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না। ট্রাইব্যুনালের আদেশ চাইব, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলো থেকে জুডিশিয়াল নথি এবং থানায় সংরক্ষিত মামলার যে নথি আছে, সবগুলো ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য।’