Homeদেশের গণমাধ্যমেজুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল সম্মিলিত নেতৃত্বের ফসল : রাফে সালমান

জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল সম্মিলিত নেতৃত্বের ফসল : রাফে সালমান


জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কোনো একক নেতৃত্ব ছিল না। এটা ছিল কালেক্টিভ নেতৃত্বের ফসল বলে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) প্রধান সমন্বয়কারী রাফে সালমান রিফাত।

শনিবার (২৪ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পোস্টে তিনি লেখেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কোনো একক নেতৃত্ব ছিল না। এটা ছিল কালেক্টিভ নেতৃত্বের ফসল। সাদিক কায়েম, নাহিদ, মাহফুজ, জুনায়েদ ভাই- কেউ কারোর ইমাম ছিল না। এখানে কোনো একক ইমাম নেই। নেই কোনো একক মাস্টারমাইন্ড।

শহীদ-আহতদের ত্যাগের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। একইসাথে এটা ছিল খুনি হাসিনার নিজের হাতের কামাই। ফ্যাসিস্ট, খুনী হাসিনার বিগত ১৬ বছরের যাবতীয় গুম, খুন, জুলুম, নির্যাতন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত ঐক্যমত্যের ফলাফল।

৫ আগস্টের পর নানা প্রকারে একপাক্ষিক বা একক ইমাম/নেতৃত্ব আরোপের প্রচেষ্টাতেই অনৈক্য, অবিশ্বাস আর বিভেদ জন্ম নিয়েছে।
ড. ইউনুস শুরু থেকে আজ পর্যন্ত গোটা ছাত্র-জনতাকে দেখেছেন মাহফুজ-নাহিদদের লেন্স দিয়ে। ফলে ঐটা হয়েছে কালেক্টিভ নেতৃত্বের ছোট্ট একটা অংশের লেন্স। গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির লেন্স।

কালেক্টিভ নেতৃত্বের বাকিরা তথা সাদিক কায়েম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আলী আহসান জুনায়েদ, সিবগাতুল্লাহ বা ছাত্রদলের রাকিব-নাসিরদের লেন্স সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা এখনও অন্ধকারে।

উত্তাল সেই আন্দোলনের মুহুর্তে সমন্বয়টা কীভাবে হয়েছিলো, কার ভূমিকা কী ছিল সেগুলোর প্রকৃত চিত্র ড. ইউনুস কখনও এই মানুষগুলোর মুখ থেকে শোনেন নাই। ছাত্রদের সম্মিলিত শক্তির সঙ্গে উনি কখনও বসেন নাই।

ফলে ছাত্র-নেতৃত্বের আজকের অনৈক্যের গোড়া সম্পর্কে উনি অনবগত। উনি যদি একবার সবার সাথে বসতেন তবে বোধ করি গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারী ছাত্রদের সমন্বয়হীনতার এতটা প্রকট সংকট এত দ্রুত তৈরি হতো না।





Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত