[ad_1]
একই সঙ্গে শিল্পকারখানাগুলোকে জ্বালানি দক্ষতা বাড়াতে উৎসাহ দিতে পারে সরকার। যেভাবে উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে-
১) সরকার কারখানাগুলোকে স্বল্প সুদে ঋণ, কর অব্যাহতি সুবিধা ও জ্বালানি দক্ষ প্রযুক্তির জন্য ভর্তুকি দিয়ে সহায়তা করতে পারে। লাইটিং সিস্টেম, এইচভিএসি ও যন্ত্রপাতি আপগ্রেড করা হলে বিদ্যুতের ব্যয় কমবে।
২) সহজ চুক্তির মাধ্যমে কারখানাগুলোকে সরাসরি বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টিও চিন্তাভাবনা করা যেতে পারে। এটি সম্ভব হলে শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল থাকবে। জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
৩) পোশাক খাতে বড় আকারের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমাধানের জন্য অর্থায়নে সরকার ও বেসরকারি সংস্থাগুলো সহযোগিতামূলক প্রকল্প নিতে পারে। এতে জ্বালানি আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পাবে।
বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে জ্বালানিসংকটের শিগগিরই সমাধান না হলে নিকট ভবিষ্যতে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে। কারণ, নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ ছাড়া শিল্পের সম্প্রসারণ ব্যাহত হবে।
বাংলাদেশ যদি পোশাকশিল্প খাত থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চায়, তবে দেশটিকে সাহসী, কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে জ্বালানিসংকট মোকাবিলা করতে হবে। জ্বালানিসংকট সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের পোশাক খাতকে আরেক ধাপ শক্তিশালী করতে পারে।
লেখক: মো. মহিউদ্দিন রুবেল, সাবেক পরিচালক, বিজিএমইএ
[ad_2]
Source link