Homeদেশের গণমাধ্যমেট্রাম্পের হিন্দু গোয়েন্দাপ্রধান নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে

ট্রাম্পের হিন্দু গোয়েন্দাপ্রধান নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে

[ad_1]

প্রথমবারের মতো হিন্দু গোয়েন্দা প্রধান পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় গোয়েন্দাপ্রধান পদে মনোনয়ন পেয়েছেন তুলসী গ্যাবার্ড। এরপরই তার এ মনোনয়ন নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রায় ১০০ কূটনীতিক, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা। এক খোলাচিঠিতে কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা এই উদ্বেগ জানান। কী বলা হয়েছে সেই চিঠিতে তা উঠে এসেছে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে।

বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, কর্মকর্তারা চিঠিতে তুলসীর ব্যাপারে অসন্তোষ জানিয়ে বলেন, সাবেক এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও হাওয়াইয়ের প্রতিনিধি পরিষদ সদস্যের গোয়েন্দা খাতে অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পুরোদস্তুর সামরিক অভিযান শুরু করা নিয়ে প্রচলিত ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলো তিনি ধারণ করেন বলে রয়েছে অভিযোগ। এ ছাড়া ২০১৭ সালে দামেস্কে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বৈঠক করার পর নিজেকে রুশ ও সিরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট করে রেখেছেন তিনি।

মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের বর্তমান সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটিক দলের নেতা চাক শুমার এবং আগামী সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান পার্টির নেতা জন থুনকে সম্বোধন করে এ চিঠি লেখা হয়েছে। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান, ন্যাটোর সাবেক উপমহাসচিব রোজ গটেমোলার ও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অ্যান্থনি লেক। আছেন বেশ কয়েকজন সাবেক রাষ্ট্রদূত, গোয়েন্দা ও সামরিক কর্মকর্তা এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সংশ্লিষ্ট অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চিঠিতে ওই কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা সিনেটের প্রতি ‘যথাযথ তদন্ত, শুনানি ও নিয়মিত আদেশ অনুসরণ করাসহ তার সাংবিধানিক পরামর্শ এবং সম্মতিসূচক ভূমিকার পূর্ণ ব্যবহার করার’ অনুরোধ জানান। এ ছাড়া সিনেট কমিটির প্রতি এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ‘সহজলভ্য সব তথ্য’ বিবেচনা করার আহ্বান জানান তারা, যাতে ‘মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রগুলো ও পদ্ধতির সুরক্ষায়’ গ্যাবার্ডের দক্ষতা-যোগ্যতা পর্যালোচনা করা যায়।

ওয়াশিংটনের পররাষ্ট্রনীতি ও গোয়েন্দা কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত অনেকে গ্যাবার্ডকে একজন বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর তুলসীর অনলাইন পোস্টগুলোতে বলা হয়, ‘ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন করা ল্যাবগুলো জৈব অস্ত্র তৈরি করছে এবং ন্যাটোর সঙ্গে ইউক্রেনের সংশ্লিষ্টতা রাশিয়ার সার্বভৌমত্বের জন্য এক হুমকি।’ এছাড়াও সিরিয়ায় বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা নিয়ে গ্যাবার্ডের সন্দেহ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তুলসী গ্যাবার্ড একসময় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সদস্য। রাজনীতি করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে। পরে রিপাবলিকান পার্টিতে যোগ দেন। পূর্বে তুলসীর গোয়েন্দাগিরি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা নেই। তবে দুই দশকের বেশি সময় ধরে মার্কিন বাহিনীতে একজন সেনাসদস্য হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত