[ad_1]
অবিলম্বে ডাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া হলপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু করে তারা মুহসিন হল ও এ এফ আর হল থেকে টিএসসি ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনে অবস্থান নেন। এখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘দফা এক দাবি এক, ডাকসুর রোডম্যাপ’, ‘এক দুই তিন চার, ডাকসু আমার অধিকার’, ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘হলে হলে খবর দে, গেস্টরুমের কবর দে’, ‘হলে হরে খবর দে, গণরুমের কবর দে’, ‘একশন একশন, গণরুমের বিরুদ্ধে’, ‘গণরুম না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’, ‘দালালি না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
সমাবেশে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী কানিজ বলেন, “আমরা এ এফ আর হলে নতুন করে গেস্টরুম কালচার দেখেছি। এ গেস্টরুম কালচার আর চাই না। আমরা চাই না ছাত্রলীগের নেত্রীদের মতো আর কোন নেত্রী আসুক, কোন দল সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে ফায়দা লুটুক। আমরা গেস্টরুম চাই না, ডাকসু চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যখন একত্রিত হয়েছেন, তখন কোন শক্তিকেই আমরা গেস্টরুম ফিরিয়ে আনতে দেব না।”
আব্দুর রহমান আল ফাহাদ বলেন, “দুঃখজনক হলেও সত্য, একটি রাজনৈতিক শক্তি শিক্ষার্থীদের গণরুম-গেস্টরুমে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের বলতে চাই, আমরা কোনভাবেই তা হতে দেব না। আমরা ডাকসু নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না।”
ভিসি চত্বর থেকে উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ নিয়ে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রক্টর ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম ও রেজিস্ট্রার মুন্সি শামসুদ্দিন কথা বলেন।
বৈঠক শেষে রাত পৌনে ১০টায় গণমাধ্যমের উদ্দেশ্যে ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থী তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী বলেন, “আজকের আলোচনার পরে আমাদের ডাকসু কেন্দ্রীক হতাশা আরও বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধু ছাত্র সংগঠন থেকে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা কোন ধরনের সংগঠনে সরাসরি যুক্ত না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ গুটিকয়েক ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে ডাকসু কেন্দ্রীক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়েই ডাকসু কেন্দ্রীক কার্যক্রম পরিচালনা করব।”
মাহিন সরকার বলেন, “আগামীকালের মধ্যে ডাকসুর অগ্রগতি নিয়ে আমাদেরকে একটি আপডেট জানানো হবে।”
[ad_2]
Source link