[ad_1]
সকালের নাস্তায় ডিম ছাড়া চলেই না অনেকের। সুস্থতার জন্য ডিমের বিকল্প নেই/ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পুষ্টিই থাকে ডিমে। প্রোটিনের পাশাপাশি ডিমে পাওয়া যায় শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় নয়টি অ্যামিনো অ্যাসিড।পেশী মেরামত এবং বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এসব অ্যামিনো অ্যাসিড। সুপারফুড ডিম সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন।
- ডিম খাওয়া নিয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। যেমন দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত এই নিয়ে অনেকেই দ্বিধান্বিত থাকেন। ফরাজি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ জানান, একজন দিনে কী পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করছেন সেটার উপর ডিম খাওয়ার চাহিদা নির্ভর করে অনেকটাই। যারা প্রতিদিন শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম করেন না, তাদের কখনোই দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। টিনএজারদের পুষ্টি ও খাবারের চাহিদা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে চাইলে বাড়তি ডিম খাওয়া যেতে পারে। তবে রোজ কয়টি করে ডিম খাবেন তা নির্ভর করে টিনএজারদের ওজন কতো ও শারীরিক জটিলতা আছে নাকি তার ওপর। যদি ওজন অনেক কম হয় তাহলে দিনে ২ থেকে ৩টি ডিম তারা দৈনিক খাদ্য তালিকায় রাখতে পারে।
- হেলথলাইন ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, ডিমের খোসার রঙ আলাদা হলেও পুষ্টিগুণের দিক থেকে তেমন কোনও পার্থক্য নেই তাদের মধ্যে।
- ডিমের কুসুম খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়- এমন ধারণা রয়েছে অনেকেরই। তবে পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ জানালেন, গবেষণায় এই তথ্য পুরোপুরি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ডিমের কুসুমে থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি ১২ এবং কে। পাশাপাশি থাকে নানা ধরনের মিনারেল, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি ডিমে ১৮৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। তবে এই কোলেস্টেরলের সবটা রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল না।
- সেদ্ধ ডিম সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। কারণ সেদ্ধ ডিমে অতিরিক্ত চর্বি বা উপাদান থাকে না। ফুটন্ত প্রক্রিয়া ডিমের প্রোটিন এবং পুষ্টি সংরক্ষণ করে। অমলেট যদিও প্রোটিন সরবরাহ করে, তবে স্যাচুরেটেড ফ্যাটও বেশি হতে পারে এতে। তাই পুষ্টির দৃষ্টিকোণ থেকে সেদ্ধ ডিমে অমলেটের চেয়ে বেশি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিন এ থাকে।
- আগে বলা হতো, বয়স চল্লিশের বেশি হয়ে গেলে তখন কুসুম না খেলেই ভালো। এটা একদম ভুল কথা। চীনের সাংহাই জিয়াওথং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা বলছে, বরং প্রতিদিন একটি ডিম খেলে হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কম থাকে।
- টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন বলছে, একটি ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। প্রতিদিন দুটি ডিম খেলে মানুষের দৈনন্দিন প্রোটিনের চাহিদার অনেকটুকুই পূরণ হয়ে যায়। ডিমের পাশাপাশি প্রোটিনের অন্যান্য উৎস যেমন ডাল, মাছ ও মাংসও রাখুন খাদ্য তালিকায়।
- দুটি সেদ্ধ ডিমে ২৮ মাইক্রোগ্রাম সেলেনিয়াম থাকে। সেলেনিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। আমাদের প্রতিদিন ৫৫ মাইক্রোগ্রাম সেলেনিয়াম প্রয়োজন।
[ad_2]
Source link