Homeদেশের গণমাধ্যমেডেপুটি রেজিস্ট্রারকে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে পুলিশে দিলেন শিক্ষার্থীরা

[ad_1]

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হয়।

এরআগে রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মী অর্ণব সিংহ রায়কে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দপ্তরে নিয়ে যান শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এরপর প্রশাসনিক কর্মকর্তারা, প্রক্টর এবং শিক্ষার্থীদের সহায়তায় জাকিরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

আন্দোলন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর সশস্ত্র হামলা, ককটেল বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. শাখাওয়াত হোসেন।

মামলায় নিজেকে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক বলে দাবি করেন। এ মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় ১১ নম্বর আসামি করা হয় জাকির হোসেনকে।

রোববার বিকেলে মারধরের পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া অর্ণব সিংহ রায় একই মামলার ১২ নম্বর আসামি। এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈনকে। মামলার আসামি হলেও জাকির হোসেন এতদিন নিয়মিত কার্যালয়ে এসেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক মো. আবু রায়হান বলেন, জাকির হোসেন আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তিনি আওয়ামী লীগের পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনের জন্য চেষ্টা চালান। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি তিনি। এজন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আবদুল হাকিম বলেন, অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ জাকির হোসেন আমার দপ্তরে আসেন। তার নামে মামলা থাকায় সবার সঙ্গে আলোচনার পর তিনি নিজেই বলেন তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে। পরে পুলিশ সদস্যরা তাকে নিয়ে যান।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া একটি মামলায় এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি জাকির হোসেন। ওই মামলা বর্তমানে তদন্ত করছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তাকে ডিবি পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি।

জাহিদ পাটোয়ারী/জেডএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত