Homeদেশের গণমাধ্যমেঢাকায় বসছে দুই দিনব্যাপী ‘আদিবাসী খাদ্য ও শস্য মেলা’

ঢাকায় বসছে দুই দিনব্যাপী ‘আদিবাসী খাদ্য ও শস্য মেলা’

[ad_1]

রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আদিবাসী খাদ্য ও শস্য মেলা। উন্নয়ন সংগঠন ‘নাগরিক উদ্যোগ’ এবং বঞ্চিত আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে ওঠা ‘মহা প্রজ্ঞা এডুকেশন ট্রাস্ট’-এর যৌথ আয়োজনে মিরপুর ১৩ নম্বরে অবস্থিত বনফুল আদিবাসী গ্রিনহার্ট কলেজ প্রাঙ্গণে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

আয়োজকদের পক্ষে রেলী চাকমা জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মেলার স্টল বরাদ্দের বিষয়টি প্রচার হওয়ার পর থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। পাবর্ত্য অঞ্চলের পাশাপাশি সমতলের মান্দি, মনিপুরী ও রাখাইন জনগোষ্ঠীর অনেক উদ্যোক্তা ইতোমধ্যেই স্টলের জন্য বুকিং দিয়েছেন।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, আদিবাসীদের ঐতিহ্যমন্ডিত রন্ধন প্রণালীর তেল ও মসলামুক্ত বিভিন্ন জনপ্রিয় খাবার নিয়ে অনেক স্টল থাকছে মেলায়। সেইসঙ্গে থাকছে পাহাড়ের জনপ্রিয় ব্যাম্বু শুট, কলা পাতার রান্না করা বিভিন্ন পদের হেবাঙ। পাহাড়ি মুরগী ও কাপ্তাই হ্রদের মাছসহ নানান জুমিয়া সবজির মুখরোচক খাবার থাকছে। এছাড়াও পার্বত্য অঞ্চলের জনপ্রিয় খাবার পাজনের স্বাদ নিতে পারবেন মেলায় আগত দর্শনার্থীরা।

সমতলের আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় খাবারের পসরা সজিয়ে বসবেন মনিপুরী, গারো ও রাখাইনরা। কালো ও সাদা বিনি চাউলের বিভিন্ন প্রকার মুখরোচক পিঠা নিয়ে হাজির হচ্ছেন রাখাইন ভোজন রসিকরা। থাকছে হাল নাগাদ বাঙালিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা অনেক ধরনের মুন্ডি। এবারের মেলার বিশেষ অকর্ষণ থাকছে পাহাড়ের বাঁশের হুক্কা; যা বাঁশ দাবা নামে বেশি পরিচিত। থাকবে নানা প্রকার টাটকা ফলের ঝাল আইটেম। এই ঝাল আইটেম লাকসো নামে অধিক সমাদৃত।

এইছাড়াও শাকসবজি, ফলমূল, বৈচিত্র্যপূর্ণ নানা জাতের কৃষিপণ্যের সমাহার এবং শুঁটকির পসরা নিয়েও অনেক উদ্যেক্তা উপস্থিত হবেন।

আয়োজকরা আশা করছেন, শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়াতে ২০-২১ ডিসেম্বরের দুই দিনব্যাপী মেলাতে ব্যাপক লোকজনের সমাগম হবে। এবার মেলার পাশাপশি ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার একটি মনোজ্ঞ আদিবাসী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যাও দর্শনার্থীরা উপভোগ করতে পারবেন। সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় আদিবাসী নারীদের জনপ্রিয় ব্যান্ড এফ মাইনরের সদস্যরা দর্শক মাতাবেন। মেট্রোরেল মিরপুর ১০ স্টেশন থেকে রিকশাযোগে মাত্র ৫ মিনিটে মেলার স্থলে পৌঁছা যাবে। মেলার স্থান বনফুল আদিবাসী গ্রনিহার্ট কলেজের পাশেই রয়েছে স্কলাসটিকা এবং এসওএস শিশুপল্লী। বিপরীতে রয়েছে বিআরটিএর কার্যালয়।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত