[ad_1]
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বামপন্থীদের মশাল মিছিলকে উদ্দেশ্য করে দুয়োধ্বনি দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়ায় বিজয় একাত্তর হলের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে আদালতের রায়ে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারকে নির্দোষী ঘোষণা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট’ এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শিবিরকে অভিযুক্ত করে প্রতিবাদী মশাল মিছিল করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট’।
এ সময় তারা ‘মুক্তিযুদ্ধ হারেনি, হেরে গেছে হাসিনা’, ‘আমরা মাটি মহনা, শিবিরের হবে না’, ‘ছাত্রলীগ গেছে যেই পথে, শিবির যাবে সেই পথে’, ‘জালো রে জালো, আগুন জালো’, ‘শেখ হাসিনা আজহার, এই বাংলার গাদ্দার’, ‘রাজশাহীতে হামলা কেন, ইন্টারিম জবাব চাই’, ‘চট্টগ্রামে হামলা কেন, ইন্টারিম জবাব চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হলপাড়ায় প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বিজয় একাত্তর হল, জসিমউদ্দিন হল, জিয়া হল ও মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা নেমে এসে বামপন্থীদের উদ্দেশ্যে ‘ভুয়া ভুয়া’ ও ‘শাহবাগী শাহবাগী’ স্লোগান দিতে থাকেন। তবে এই শিক্ষার্থীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় বা শিবির সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা- তা জানা যায়নি।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বাম ছাত্র সংগঠনগুলো উস্কানীমূলক স্লোগান দেওয়ার কারণে এমনটা ঘটেছে।
পরবর্তীতে মশাল মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, “গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মিছিলে শিবির হামলা চালিয়েছে। আজ চট্টগ্রামে হামলা চালিয়েছে। পুলিশের উপস্থিততে তারা হামলা চালিয়েছে, পুলিশ ও রাষ্ট্রযন্ত্র জামায়াত শিবিরের পক্ষে কাজ করেছে।”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন আদালতের রায়কে প্রভাবিত করা হত। ৫ আগস্টের পরও রায় প্রভাবিত করে জামায়াত-শিবিরের পক্ষে নেওয়া হচ্ছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে জামায়াত গণহত্যা চালিয়েছে, নিজের দেশের মানুষের বিপক্ষে অস্ত্র ধরেছে। তাদের বিচার বাংলাদেশ হয়নি। ২৪ এর জুলাই গণহত্যার বিচার আমরা চাই, সঙ্গে ৭১ এর গণহত্যার বিচারও চাই।”
[ad_2]
Source link