[ad_1]
ফিরে এসে নিয়মিত সংগীতচর্চা করেছেন। সব শিল্পীর মধ্যে পাপিয়া সারোয়ার কিন্তু নিজেকে স্বতন্ত্র শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শুধু রবীন্দ্রসংগীত বলব না, তাঁর একটা নিজস্বতা ছিল। তিনি যখন আধুনিক গানটাও গাইতেন, তাঁর নিজের মতো করে গেয়েছেন। তাঁর কণ্ঠ, গায়কি, ব্যক্তিত্ব—সব মিলিয়ে তিনি কিন্তু অনন্য ছিলেন। আমাদের সেই সময়ে, দেশ তো স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর হয়ে গেছে, সে সময় আমাদের যে শ্রোতারা ছিলেন, তাঁদের যে ভক্তরা—তাদের মনন, রুচি, রুচি তৈরি করার ক্ষেত্রে এই শিল্পীরা, তার মধ্যে পাপিয়া সারোয়ার একজন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। যত দিন গান গেয়ে গেছেন, তত দিন নিজেকে সুন্দরভাবে, সম্মানের সঙ্গে, ভালোবাসার সঙ্গে, সে গান চর্চা করে গেছেন। নিজে স্কুল করে গেছেন। ছাত্রছাত্রী তৈরি করেছিলেন, নিজেকে সব সময়… ওই যে কথা বারবার বলতে ইচ্ছে করে—পাপিয়া আপা নিজেকে কখনো জাহির করেননি, নিজের গুণগান প্রচার করেননি, প্রসার করবার চেষ্টা তাঁর মধ্যে দেখিনি। গানের প্রতি একটা নিবিষ্টতা ছিল, সেভাবেই গান করে গেছেন। সে জন্য আমার মনে হয় যে পাপিয়া সারোয়ারদের মতো শিল্পীরা, অন্তত যাঁরা রবীন্দ্রনাথের ভক্ত, যাঁরা রবীন্দ্রনাথের গান শিখে আসছেন, অন্তত তাঁদের কাছে এদের স্থান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
[ad_2]
Source link