[ad_1]
প্রথম আলো :
শুনেছি একসময় প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলেছেন; পরে ব্যবসায়ী হতে চেয়েছিলেন কেন?
গোলাম কিবরিয়া তানভীর: কৈশোরে আমি নিয়মিত ক্রিকেট খেলতাম। ইচ্ছাও ছিল যে ক্রিকেটার হব। কিন্তু পেশা হিসেবে খেলা নেব কি না, তা নিয়ে একসময় দোটানায় পড়ে যাই। কারণ, পরিবার চাইত যে আমি ঝুঁকিমুক্ত ক্যারিয়ার গড়ি। বাণিজ্যের ছাত্র হওয়ায় পড়াশোনা শেষে ব্যবসা করতে চেয়েছিলাম। পরিবার ও চট্টগ্রামের এত শিল্পী কাজ করেন; সেটার প্রভাবেই বোধ হয় পরে অভিনয়টাই টেনেছে।
প্রথম আলো :
অভিনয়ে আসার গল্পটা বলবেন?
গোলাম কিবরিয়া তানভীর: আমার মা নূর নাহার তারেক ছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার। তখন আমরা চট্টগ্রাম থাকতাম। তখন মায়ের সঙ্গে ফ্যাশন শোতে যেতাম। র্যাম্পে হাঁটা, ফটোশুট—এসবের সঙ্গে তখন থেকেই পরিচয়। এসব দেখে ক্যামেরাভীতি কেটে যায়। মায়ের উৎসাহেই অভিনয়ে আসা। উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় মডেলিং শুরু করি। ২০০৬ সালে ফারুকী (মোস্তফা সরয়ার) ভাইয়ের পরিচালনায় বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং করি। অভিনয়ে আসা মূলত পরিবারে অনুপ্রেরণা আর চট্টগ্রামের এত সংগীতশিল্পী, অভিনেতা ও মডেল—তাঁরাও ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছেন। মনে হয়েছে, অভিনয়ে টিকে থাকা যাবে।
প্রথম আলো :
প্রায় দুই দশক ধরে কাজ করছেন। কখনো মনে হয়েছে যে আরও ভালো অবস্থানে থাকার কথা ছিল?
গোলাম কিবরিয়া তানভীর: আমি শুরুতেই স্টারডম দেখে ফেলেছি। তখন কম বয়স। তখনই মনে হয়েছে, জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেয়ে ধরে রাখা কঠিন। দীর্ঘ এই সময়ে আমি বিজ্ঞাপনচিত্র, টেলিভিশনের প্রচুর ফিকশন আর ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছি। ‘গুলশান অ্যাভিনিউ’ ধারাবাহিক নাটকে টানা চার বছর কাজ করেছি। সে সময় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অমিতাভ রেজা, গিয়াস উদ্দিন সেলিম, কিসলু ভাইসহ সবার সঙ্গে কাজ করেছি। আমি প্রতিনিয়ত শিখেছি, নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমার মনে হয়, একজন শিল্পী তৈরি হতেই ১৫ থেকে ২০ বছর লাগে।
প্রথম আলো :
অনেকে তো অল্প সময়েই তারকাখ্যাতি পেয়ে যান!
গোলাম কিবরিয়া তানভীর: এটা ঠিক, হুট করে এসেও কেউ কেউ তারকা হচ্ছেন। সেটা তাঁদের যোগ্যতা দিয়ে, কারণ, ভালো কাজ ছাড়া পরিচিতি পাওয়া সহজ কথা নয়। তবে কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছেন, তাঁদের টিকে থাকাও কঠিন হচ্ছে। খেয়াল করলে দেখবেন, টেলিভিশনের যুগে জাহিদ হাসান, মাহফুজ আহমেদ, তৌকির ভাইয়েরা কিন্তু এখনো দর্শকদের মনে রয়েছেন। তাই আমার মতে, টেলিভিশন যুগের অভিনয়শিল্পীরাই বড় তারকা। তাঁদের জনপ্রিয়তা কখনোই কমবে না। কিন্তু ভাইরালদের জনপ্রিয়তা ক্ষণস্থায়ী। তাঁদেরও টিকে থাকার সংগ্রাম করতে হয়। প্রত্যেক তারকাকে কখনো না কখনো টিকে থাকার সংগ্রাম করতে হয়। দিন শেষে শৈল্পিক কাজই শিল্পীকে বাঁচিয়ে রাখে।
[ad_2]
Source link