Homeদেশের গণমাধ্যমেদায়িত্ব নেওয়ার আগেই বাণিজ্য যুদ্ধের প্রস্তুতি ট্রাম্পের

দায়িত্ব নেওয়ার আগেই বাণিজ্য যুদ্ধের প্রস্তুতি ট্রাম্পের

[ad_1]

শপথ নেওয়ার আগেই বাণিজ্য যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ওপর বড় ধরনের শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। প্রথমদিন থেকেই এসব পদক্ষেপ কার্যকরের অঙ্গীকার করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) ট্রাম্প বলেছেন, মেক্সিকো ও কানাডা থেকে আসা সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। মাদক পাচার ও অভিবাসীদের অবৈধ প্রবেশ ঠেকানোর পদক্ষেপ নেওয়ার আগ পর্যন্ত তার সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

তার এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে ২০২০ সালে কার্যকর হওয়া যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির (ইউএসএমসিএ) শর্ত লঙ্ঘন হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি অনুযায়ী, তিন দেশের মধ্যে অধিকাংশ পণ্যের বাণিজ্য শুল্কমুক্ত। তবে ২০২৬ সালে, চুক্তির ‘সানসেট’ ধারার আওতায় এটি পুনরায় আলোচনার সুযোগ রয়েছে।

২০২৩ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মেক্সিকোর ৮৩ শতাংশ ও কানাডার ৭৫ শতাংশ রফতানি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে যায়। মেক্সিকোতে স্বল্প ব্যয়ে উৎপাদিত এশীয় গাড়ি ও ইলেকট্রনিক পণ্যের ওপরও এই শুল্কের প্রভাব পড়তে পারে।

চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কের পাশাপাশি ১০ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপের ঘোষণাও দিয়েছেন ট্রাম্প। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি বলেছেন, ২০ জানুয়ারিতে প্রথম নির্বাহী আদেশের মধ্যে মেক্সিকো ও কানাডার সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের জন্য প্রয়োজনীয় সব নথিতে স্বাক্ষর করা হবে।

ঘোষণার পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপ হয়। এক কানাডীয় সূত্র জানিয়েছে, তাদের আলোচনায় বাণিজ্য ও সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয় উঠে আসে।

বিশ্লেষক উইলিয়াম রেইন্সচ বলেছেন, এটি একরকম প্রচ্ছন্ন হুমকি। ইউএসএমসিএ-র আগাম আলোচনা নিশ্চিত করতে এটি করা হয়ে থাকতে পারে।

মেক্সিকোর নিম্নকক্ষের নেতা রিকার্ডো মনরিয়েল শুল্ক আরোপের বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, এই ধরনের প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা সাধারণ জনগণের ক্ষতি করবে ও মূল সমস্যার সমাধান করবে না।

ট্রাম্পের ঘোষণায় ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারে প্রভাব পড়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে কানাডিয়ান ডলার ১ শতাংশ ও মেক্সিকান পেসো ২ শতাংশ মান হারায়। এশিয়ার শেয়ারবাজার ও ইউরোপীয় ফিউচার মার্কেটেও পতন ঘটে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘোষণার মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন একটি শক্তিশালী বাণিজ্য অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এটি বাস্তবায়িত হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জটিলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত