[ad_1]
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এই টানাপড়েন পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার আশঙ্কা আছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দুই দেশের নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলা করতে হবে বলে জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডাকসু ভবনের দ্বিতীয় তলায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আলোচকরা এসব কথা বলেন।
এসময় সম্প্রতি আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে ভারতের পতাকা অবমাননাকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, ভারতের ভূমিকা প্রবল আধিপত্যবাদী। দুই দেশের ধর্মীয় ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক সমস্যাকে সাম্প্রদায়িক ঘেরাটোপে আটকে রাখতে চায়। এতে দুই দেশেরই ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের মধ্যে জান-মালের অনিরাপত্তার আশঙ্কা ও ভয় তৈরি হয়।
ভারতের রাজনৈতিক আগ্রাসনকে প্রতিহত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অতি দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে সভায় মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, অতিসত্বর বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিহার করে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকার আমলে ও তার পূর্বে ভারত রাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের যেসকল অসম চুক্তি হয়েছে তা জনগণের সামনে প্রকাশ করতে হবে এবং রামপালসহ জনস্বার্থবিরোধী প্রকল্প বাতিল করতে হবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ভারত রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বিজেপির উসকানিতে পা না দেওয়ার জন্য এই দেশের জনসাধারণকে আশ্বস্ত করতে হবে এবং দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের উদ্বেগ নিরসনের দায়িত্ব নিতে হবে। বিভ্রান্তিকর মামলা থেকে সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণকে অব্যাহতি দিয়ে তার বিরুদ্ধে যদি কোন জনবিরোধী অভিযোগ থাকে তবে তা প্রকাশ্যে উপস্থাপন করতে হবে।
সভায় ভারতের মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা শক্তভাবে বিরোধিতা করার জন্য দুই দেশের প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক নাগরিক ও সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে সভায় দেশের ভেতর দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং জুলাই আহতদের জন্য প্রতিশ্রুত বিনামূল্যে চিকিৎসা দ্রুত নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
সভায় ‘৭১ থেকে ২৪: বিজয়ের লড়াই’ শিরোনামে ডিসেম্বর মাসে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় দিবস উদযাপন ছাড়াও ২০ ডিসেম্বর শহীদ মিনার থেকে ‘৭১ থেকে ২৪: বিজয়ের লড়াই’ শিরোনামে একটি গণপদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— ডা. হারুন অর রশীদ, আকরাম খান, কাফি রতন, বাকী বিল্লাহ, আফজাল হোসেন, রফিকুজ্জামান ফরিদ, দিলীপ রায় প্রমুখ।
[ad_2]
Source link