চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বড় ধাপ ফেললো প্যারিস সেন্ট জার্মেই। মঙ্গলবার সেমিফাইনালের প্রথম লেগে তারা আর্সেনালের মাঠে জিতেছে ১-০ গোলে। ফ্রান্সের রাজধানীতে ফেরার আগে লুইস এনরিকের দল নিশ্চিতভাবে এগিয়ে থাকলো।
চতুর্থ মিনিটে উসমান দেম্বেলের শটে লক্ষ্যভেদ করে পিএসজি। বাঁ দিক থেকে কভিচা কভারাতস্খেলিয়ার বাড়ানো বল পেয়ে ফরাসি ফরোয়ার্ড গোল করেন। চলতি মৌসুমে এটি দেম্বেলের অষ্টম গোল এবং ১১তম গোলে রেখেছেন অবদান। পিএসজির সাবেক তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ছুঁলেন তিনি।
২০০৯ সালের পর প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলতে নামা আর্সেনাল ম্যাচে শেষ ভাগে দাপট দেখায়। বিরতির পর মিকেল মেরিনোর একটি গোল বাতিল হয়। পিএসজি কিপার জিয়ানলুইজি দোনারুম্মাও কয়েকটি সেভ করে লিড ধরে রাখেন।
পিএসজি আরও ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারতো। ব্র্যাডলি বার্কোলা ও গনসালো রামোস সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন।
আগামী বুধবার ঘরের মাঠে পিএসজি এই অগ্রগামিতা ধরে রাখতে পারলে মিউনিখের ফাইনালে বার্সেলোনা কিংবা ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে।
পিএসজির মিডফিল্ডার ভিতিনহা বলেছেন, ‘দলের জন্য এটা ছিল দারুণ রাত। খেলার অধিকাংশ সময় ব আমাদের কাছে ছিল। ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে আমাদের মানিয়ে নিতে হতো। আমরা সেটা করেছি, ডিফেন্ডিং ও অ্যাটাকিং ভালো হয়েছে।’
এই হার আর্সেনালের জন্য বিরাট ধাক্কা হলেও পরের লেগে ঘুরে দাঁড়ানোর বিশ্বাস কিপার ডেভিড রায়ার। তিনি বলেন, ‘আমরা ২৫তম মিনিট থেকে দেখিয়ে দিলাম আমরা যে কোন ও দলের বিপক্ষে জিততে পারি। এই মৌসুমে আমরা প্রমাণ করেছি যে ঘরের বাইরে আমরা জিততে পারি। আগামী সপ্তাহে আমরা প্যারিসে জেতার জন্য যাচ্ছি।’
অক্টোবরে প্রতিযোগিতার লিগ পর্বে উত্তর লন্ডনে আর্সেনাল ২-০ গোলে পিএসজিকে হারায়। তারপর থেকে লুইস এনরিকের ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা যেন অপ্রতিরোধ্য। আর্সেনালের কাছে ওই হারের পর তারা ইংলিশ ক্লাব ম্যানসিটিকে হারায় লিগ পর্বে, তারপর শেষ ষোলোতে লিভারপুলের ইতি টেনে দেয় এবং কোয়ার্টার ফাইনাল থ্রিলারে অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়ে দেয়।