[ad_1]
বিচারবহির্ভূত হত্যা: কোন সময়ে বাড়ল, কখন কমল
আসকের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটে ২০১৮ সালে। ওই বছর ৪১২ জন এ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটনা ঘটে পুলিশের হাতে, ২১৬টি। র্যাবের হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হন ১৩৫ জন। অন্যান্য বাহিনীর হাতে এ ধরনের হত্যার ঘটনা ঘটে ১৭টি।
২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বাহিনীর সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওই বছর দেশে ১৮৮ জন বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হন। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরের বছরই হত্যার ঘটনা ঘটে ৫১টি। আসকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৪ সালের পর এর আগে বিচারবহির্ভূত কম হত্যা হয় ২০১৩ সালে, ৪২টি।
আসকের সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির বলেন, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় র্যাব আসার পর থেকে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড কমে যায়। হয়তো র্যাবের পরিস্থিতি দেখে পুলিশ কর্তৃপক্ষ সতর্ক হয়ে ওঠে। এখন প্রশ্ন, তাহলে নিষেধাজ্ঞা জারির পর বাহিনীগুলো এ ধরনের ক্রসফায়ার না করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখল কীভাবে? তাহলে আমরা বলতেই পারি, ২০০৪ সাল থেকে সংঘটিত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ছিল সরকারগুলোর জনমনে ভীতি ছড়ানোর কৌশল। একটি সমাজব্যবস্থায় গত ২০ বছরে এত মানুষের জীবনের অধিকার কেড়ে নেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন।
[ad_2]
Source link