[ad_1]
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ভারত, অস্ট্রেলিয়া—সব কটিই সুবিশাল দেশ। তাদের প্রদেশ বা রাজ্যও অনেক। সেগুলোর ভাষা ও সাংস্কৃতিক-নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্য এতটাই বেশি, একটি উচ্চকক্ষে প্রদেশগুলোর যোগ্য প্রতিনিধিত্ব ছাড়া বিশালত্বের জটিল দিকগুলো পর্যালোচনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।
স্বৈরাচার ঠেকানোর উদ্দেশ্যে এসব দেশের উচ্চকক্ষ ব্যবস্থা করা হয়নি মোটেই। বাংলাদেশের সঙ্গে এসব দেশের উচ্চকক্ষ দর্শনের মূল পার্থক্য এখানেই। তার ওপর বাংলাদেশ অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি দেশ, প্রদেশ নেই, বৈচিত্র্য সামান্যই, সবাই সবাইকে চেনে। পরিবার ও গোষ্ঠীভিত্তিক সম্পর্কে আমরা একে অপরের সঙ্গে এমনই বিজড়িত যে উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষ ক্ষতিকর আন্তসম্পর্কও তৈরি হয়ে যেতে সময় লাগবে না।
বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক দুর্যোগকবলিত দেশ। তদুপরি গরিব দেশ। যখন তাৎক্ষণিক জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সিনেটে দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়ে গেলে উদ্ধারের উপায় কী হবে? সিনেট পালার মতো আর্থিক সামর্থ্যও কি আমাদের আছে? সিনেটে অভিজ্ঞ, মেধাবী, দক্ষ, করিতকর্মা মানুষের দরকার হয়। আমাদের দেশে এ রকম মানুষের সংখ্যা আঙুলে গুনে দেওয়া যাবে। প্রকৃতই কার্যকর সিনেট গঠন না করা গেলে জ্বর সারাতে গিয়ে কুইনাইন প্রয়োগ হবে বটে, কুইনাইন সারানোই যে কষ্টকর হয়ে পড়বে।
ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সিনেটবিরোধী নই, তবে সতর্কতা ও ব্যাপক পর্যালোচনার পক্ষে। ১০০টি নারী আসন সংরক্ষিত থাকবে কেন, সরাসরি নির্বাচনে নারীরা আসবেন না কেন—বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট। ‘সংরক্ষিত’ শব্দটি ও অন্তর্নিহিত ধারণাটি নারীদের জন্য অসম্মানের। রাজনৈতিক দলগুলোই স্ব স্ব তিনটি আসনের বিপরীতে একজন করে নির্ধারিত নারী প্রতিদ্বন্দ্বী মনোনয়ন দিতে পারে। সর্বশেষ ‘ন্যায়পাল’ বিষয়ে কোনো ভাবনাচিন্তা থাকলে সেটিও জনগণকে জানানো প্রয়োজন।
● হেলাল মহিউদ্দীন অধ্যাপক, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মন্টক্লেয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত
(ছাপা পত্রিকার শিরোনাম: নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের কুইনাইন সারানো যেন দরকার না হয়)
[ad_2]
Source link