[ad_1]
ধর্মীয় মৌলবাদ এবং উগ্রবাদ প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের বিকল্প নেই বলে দাবি করেছেন সাংস্কৃতিক ইউনিয়ন আয়োজিত অনুষ্ঠানের বক্তারা।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সঞ্জীব চত্বরে প্রখ্যাত বাউল সাধক উকিল মুন্সীর স্মরণোৎসবে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় বক্তারা বাংলাদেশ ও ভারতের সাম্প্রতিক ধর্মীয় মৌলবাদী ঘটনার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
লেখক ও চিন্তাবিদ ফারহাদ মজহার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘ধর্মীয় মৌলবাদীরা গান করা হারাম বলে দাবি করে, কিন্তু পবিত্র কোরআনে এর কোনও বিবৃতি নেই। এভাবে তারা সাধারণ মানুষের মধ্যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে। আবার, তারা এই অঞ্চলের পবিত্র অলিদের কবর ভেঙে দিচ্ছে।’
গায়ক কফিল আহমেদ বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে অবশ্যই এই দেশ ও উপমহাদেশের সৃষ্টির পেছনের ইতিহাস জানতে হবে, যাতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গঠন করা যায়। আমরা এমন একটি নতুন দেশের স্বপ্ন দেখি যেখানে কোনও মৌলবাদ থাকবে না, কোনও উগ্রবাদ থাকবে না, বরং ধর্মীয় সম্প্রীতি থাকবে।’
স্মরণসভায় উকিল মুন্সীর গান ও তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন আকাশ গায়েন, শাহ মোহাম্মদ শিপন, খোকন চিশতি, মারুফ মৃন্ময়, নবীন কিশোর গোস্বামী, অভিষেক রায় অর্জন, অনিন্দ্য বিশ্বাস, জয়ন্ত পাল জয়, ইমরান হোসেন, শ্যামল আহমেদ সাজল, আয়ান ইসলাম অলী, আবু রাশেদ, আশিকুর রহমান বন্ধন, নাজমুল হাসান লঞ্জু, নিয়ন রেজা, তন্ময় চন্দ্র রায়, লিওনার্ড ধ্রুব, হৃদয় রায় হিমেল, দেওয়ান রিজওয়ান, শাহনী বেপারী এবং অন্যরা।
প্রসঙ্গত, উকিল মুন্সী সংগীত জগতের একজন কিংবদন্তি ছিলেন। তিনি মানব-মানবীর আকাঙ্ক্ষা, প্রেম, সুখ, দুঃখ, বিচ্ছেদ নিয়ে গান রচনা এবং স্রষ্টার প্রতি নিজের বিচ্ছেদের অনুভূতিকে প্রকাশ করেছেন।
[ad_2]
Source link