সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান ১২ ওভারে ১২৬/২ (শাহিবজাদা ১, সাইম ৪৫, হারিস ৬৪*, নওয়াজ ১৫*)
বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৯৬/৬ (ইমন ৬৬, তানজিদ ৪২, লিটন ২২, হৃদয় ২৫, শামীম ৮, জাকের ১৫*, মিরাজ ১, তানজিম ৮*)
হারিসের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি, সাইমকে আক্ষেপে পোড়ালেন তানজিম
দশম ওভারে তানজিম হাসান সাকিবকে প্রথম বলে ছক্কা মেরে ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন মোহাম্মদ হারিস। পরের বলে চার মারেন তিনি। তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৯.৩ ওভারে দলীয় স্কোর একশতে নেন হারিস।
এক বল বিরতি দিয়ে সাইম আইয়ুবকে তানজিদ হাসানের ক্যাচ বানান তানজিম। ২৯ বলে দুটি চার ও চারটি ছয়ে ৪৫ রানে থামেন পাকিস্তানি ওপেনার। ৫৩ বলে ৯২ রানের জুটি ভাঙে। ৯.৫ ওভারে ১০০ রানে ২ উইকেট হারালো স্বাগতিকরা।
পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানকে ৫৬ রান দিলো বাংলাদেশ
প্রথম ওভারে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ৮ রানে ভাঙলেও মোহাম্মদ হারিস ও সাইম আইয়ুব আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান তোলে স্বাগতিকরা। এই সময়ে বাংলাদেশ বিনা উইকেটে ৫৩ রান করেছিল।
মিরাজের শিকার শাহিবজাদা
মেহেদী হাসান মিরাজের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে দলের রানের খাতা খোলেন শাহিবজাদা ফারহান। চতুর্থ বলে সাইম আইয়ুব বাংলাদেশি স্পিনারকে ছক্কা মারেন। পরের বলে তিনি সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইকে পাঠান শাহিবাজাদাকে। আগের ম্যাচের সেরা পারফর্মার ডিপ স্কয়ারে সীমানার সামনে রিশাদ হোসেনের ক্যাচ হন। চার বল খেলে মাত্র ১ রান করে আউট পাকিস্তানি ওপেনার। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে তার বিদায়ে ৮ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে রেকর্ড ১৯৬ রান বাংলাদেশের
১০.১ ওভারে বাংলাদেশ একশ রান পার করে। শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে তারা বড় স্কোরের আভাস দিয়েছিল। কিন্তু ১১০ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙার পর রান তোলার গতি কমে যায়। তাওহীদ হৃদয় অধিনায়ক লিটন দাসকে নিয়ে ৪৯ রানের জুটি গড়েন। আব্বাস আফ্রিদির জোড়া আঘাতে বাংলাদেশ ধাক্কা খায়। শেষ ৫ ওভারে তারা চার উইকেট হারিয়ে ৪৮ রান তোলে। জাকের আলীর ব্যাটে দুইশ ছুঁইছুঁই রান করে সফরকারীরা।
এর আগে পারভেজ হোসেন ইমন ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন। তানজিদ হাসান তামিম তার সঙ্গে শতাধিক রানের জুটি গড়তে ৪২ রান করে অবদান রাখেন। এছাড়া লিটন ২২ ও হৃদয় ২৫ রান করেন।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ১৯৬ রান করলো ৬ উইকেট হারিয়ে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে করা ১৭৫ রানের রেকর্ড ভেঙেছে তারা।
স্বাগতিকদের পক্ষে হাসান আলী ও আব্বাস নেন দুটি করে উইকেট।
১ রানে মিরাজ আউট
মাত্র ৩ বল খেলে ১ রান করে আউট হলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইনিংসের পাঁচ বল বাকি থাকতে হাসান আলীর বলে হাসান নওয়াজের ক্যাচ হন তিনি। ১৯.১ ওভারে ১৮৪ রানে ৬ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
আব্বাসের জোড়া আঘাতে শামীম-হৃদয়ের বিদায়
নেমেই দুটি চার মারেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। আর দুটি বল খেলে আর রান করতে পারেননি। ১৮তম ওভারে আব্বাস আফ্রিদির বলে মোহাম্মদ হারিসের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি ৮ রান করে। আগের দুই ম্যাচে ৪ ও ৭ রান করেন শামীম।
এক বল বিরতি দিয়ে তাওহীদ হৃদয়ও পাকিস্তানি স্পিনারের শিকার।১৮ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ২৫ রান করে সাইম আইয়ুবের ক্যাচ হন বাংলাদেশি ব্যাটার। ১৭২ রানে পঞ্চম ব্যাটারকে হারালো বাংলাদেশ।
স্টাম্প ছেড়ে শট খেলতে গিয়ে বোল্ড লিটন
তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে লিটন দাসের জুটি জমে গিয়েছিল। এক রানের জন্য এই জুটির পঞ্চাশ হলো না। ১৭তম ওভারে হাসান আলীর বল স্টাম্প ছেড়ে মারতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হলেন লিটন। ১৮ বলে এক চার ও এক ছয়ে ২২ রান করে আউট হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। হৃদয়কে নিয়ে তার জুটি ছিল ৩২ বলে ৪৯ রানের। ১৬.৩ ওভারে ১৬২ রানে তৃতীয় উইকেট পড়লো তাদের।
বাংলাদেশের ১৫০
দ্রুত পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিম বিদায় নিলে লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়ের জুটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। ১৪.৫ ওভারে তাদের স্কোর দেড়শতে পৌঁছায়। ১৩ রানে লিটন ও ২২ রানে হৃদয় অপরাজিত আছেন।
তানজিদের পর ইমন আউট
৫ বলের মধ্যে বাংলাদেশ হারালো দুই ওপেনারকে। ১২তম ওভারের প্রথম বলে শাদাব খানের শিকার হলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ক্যাচ দেন উইকেটকিপার মোহাম্মদ হারিসকে। ৩৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৬৬ রান করেন তিনি। ১১৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
৪২ রানে তানজিদের বিদায়, ভাঙলো ১১০ রানের জুটি
তানজিদ হাসান তামিম হাফ সেঞ্চুরি থেকে আট রান দূরে থাকতে থামলেন। ফাহিম আশরাফের বলে ১১তম ওভারের চতুর্থ ডেলিভারিতে আউট তিনি। শর্ট ফাইনে আবরার আহমেদের ক্যাচ হন তানজিদ। ৩২ বলে ৪২ রান করেন এই ওপেনার। ১১০ রানে ভাঙলো ওপেনিং জুটি।
ইমনের ছক্কায় ৬১ বলে ওপেনিং জুটি ও বাংলাদেশের সেঞ্চুরি
১১তম ওভারের প্রথম বলে ফাহিম আশরাফকে ছক্কা মারেন পারভেন হোসেন ইমন। তাতে ৬১ বলে ওপেনিং জুটি ও বাংলাদেশের স্কোর একশ ছাড়িয়েছে।
ইমনের ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি
পারভেজ হোসেন ইমন নিজেকে ফিরে পেলেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ২৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। অষ্টম ওভারের শেষ বলে আবরার আহমেদকে চার মেরে এই মাইলফলক ছোঁন বাংলাদেশি ওপেনার। আগের তিন বলে একটি ছয় ও চার মারেন তিনি। ওই ওভারে আসে ১৬ রান।
ওপেনিং জুটিতে দারুণ শুরু বাংলাদেশের, পাওয়ার প্লেতে ৫৩ রান
প্রথম দুই ওভার মানিয়ে নিতে গেছে পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমের। এই সময়ে ৮ রান তোলেন তারা। তৃতীয় ওভার থেকে মারকুটে ইমন। সাইম আইয়ুবকে দুটি ছক্কা ও এক চার মেরে ১৯ রান তোলেন তিনি।পরের ওভারের শেষ দুই বলে হাসান আলীকে টানা চার মারেন তানজিদ।পঞ্চম ওভারের প্রথম দুই বলে ফাহিম আশরাফকে চার মারেন ইমন। তাতে ৫ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৪৬ রানে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ইমনের বাউন্ডারিতে তাদের স্কোর পঞ্চাশ পার হয়। ৩৫ বলে এই জুটির ফিফটি হয়, আসে ৫১ রান। ৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫৩ রান।
টস জিতে এবার বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো পাকিস্তান
এবারও টস জিতেছে পাকিস্তান। টানা তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস ভাগ্য তাদের পক্ষে। এবার আর নিজেরা প্রথমে ব্যাটিং করেনি। বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আগে তারা ফিল্ডিং করবে।
শরিফুল ইসলাম চোটের কারণে নেই এই ম্যাচে। তার জায়গায় টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলো খালেদ আহমেদের।
প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তান দুটোতেই ২০১ রানের সংগ্রহ করে।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, লিটন দাস (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ।
পাকিস্তান একাদশ: শাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), সালমান আগা (অধিনায়ক), হাসান নওয়াজ, শাদাব খান, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, হাসান আলী, হারিস রউফ, আবরার আহমেদ।
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশন বাংলাদেশের
স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামছে সফরকারী বাংলাদেশ। এরই মধ্যে টানা দুটি ম্যাচে হেরে সিরিজ খুঁইয়ে বসেছে লিটন দাসের দল। আজ হোয়াইটওয়াশ এড়াতে তারা রাত ৯টায় লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নামবে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।