[ad_1]
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময়ে নিহত পরিচয়হীন এক নারীসহ সাত মরদেহ রয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে। এদিকে, জুলাই বিপ্লবের সময় থেকে নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে দুই পরিবার ঘুরে বেড়াচ্ছেন ঢামেক হাসপাতালে।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) ঢামেক মর্গে আসেন নিখোঁজের স্বজনেরা। তারা মনে করছেন, মর্গে রাখা সাত মরদেহের মধ্যে তাদের স্বজন থাকতে পারে। কিন্তু সেখানে মরদেহ দেখে সনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মুনসুর জানিয়েছেন, ঢামেক মর্গে থাকা সাত মরদেহের মধ্যে ৬টি মরদেহ আমাদের মধ্যে, আরেকটি দেখছেন যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে একটি পরিবার এসেছিলেন। তারা মরদেহ দেখেছেন। তারা জানিয়েছেন তাদের নিখোঁজ স্বজনের বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। আমরা পেয়েছি মরদেহের বয়স ৩০ বছর।
তিনি বলেন, যদি কেউ মরদেহ দেখে সনাক্ত করতে পারেন। তারপর ডিএনএ’র বিষয় আসে। আগে সনাক্ত করুক পরে ডিএনএ করা হবে।
নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির মেয়ে রেশমা বেগম ঢামেক মর্গে এসে জানিয়েছেন, তার নিখোঁজ বাবার নাম কাবিল হোসেন। বয়স ৬০ বছর। তিনি মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে অনেক খুঁজাখুঁজির করেও পাওয়া যায়নি। মৃতের মুখে দাড়ি, চেক লুঙ্গি পড়া ছিল।
মেয়ে রেশমা বেগম বলেন, ফেসবুকে দেখে জানতে পেরেছি, ঢামেক মর্গে বেশ কিছু মরদেহ পরিচয়হীন অবস্থায় পড়ে আছে। পরে মর্গে আসি। কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার কায়েকখালী গ্রামের বুলু মিয়ার ছেলে কাবিল। বর্তমানে মুগদায় থাকতেন। এক ছেলে এক মেয়ের জনক কাবিল।
এদিকে আরেকজন নিখোঁজ স্বজনের চাচা নুরে আলম জানিয়েছেন, তার ভাতিজার নাম মো.হাসান (১৯)। গণঅভ্যুত্থান পর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেছেন কিন্তু পাচ্ছেন না।
ভোলা সদর উপজেলার বাগচির গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে হাসান। বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর সুতি খালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতেন। সে কাপ্তান বাজার একটি দোকানের কর্মচারী ছিল। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সে ছিল বড়। তার বাবা গ্রামে কৃষিকাজ করেন।
তিনিও ঢামেক মর্গে মরদেহ দেখেছেন, মরদেহটি তার ভাতিজার চেহারার সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ফেইসবুকে দেখেছি, একটি ছেলের পায়ে তার পেঁচানো ছিল। হালকা দাড়ি, পায়জামা-পাঞ্জাবি পড়া ছিল। মনে হয়েছে, সেই আমাদের হাসান।
তিনি বলেন, আমরা এসে মরদেহ দেখেছি। তারও পায়জামা পরা পাওয়া গেছে। তার পেঁচানো রয়েছে, হালকা দাড়িও রয়েছে। এছাড়াও কাটা দাগ ছিল, কিন্তু সেটা পাওয়া যায়নি, মরদেহ অনেকটা পচে গেছে। চেহারা দেখে বোঝা না গেলেও, আমরা মনে করছি সেই আমাদের হাসান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক বিশেষ সেলের সদস্য নাফিসা ইসলাম শাকাফি বলেন, আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন, ঢামেক মর্গে রাখা ৭ মরদেহ সনাক্ত হয়নি। নিখোঁজ হওয়া পরিবারের যদি সনাক্ত করতে পারেন, তাদের ডিএনএ নমুনা দেওয়া থেকে শুরু করে যতো ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা করবো।
[ad_2]
Source link