[ad_1]
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ‘নির্বাচনের দিনক্ষণ নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। তবে আমাদের প্রধান নির্বাহী প্রধান উপদেষ্টা যেমনটা বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে কোনও একটা সময়। এই টাইম ফ্রেমের মধ্যে নির্বাচন- এটার আরলি স্টেজকে সামনে রেখে আমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে।’
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার সরকারি মীর ইসমাইল হোসেন কলেজের হল রুমে নতুন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়ের প্রশ্নে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এটা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্যের জায়গাটা কোথায় গিয়ে পৌঁছায়, কী পরিমাণ সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিতে হয়।’
নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, ‘১৪তম নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম সভাতেই আমরা সিদ্ধান্ত নিই, ভোট যখনই হোক আমাদের একটা ভোটার তালিকা প্রয়োজন হবে। আর ভোটার তালিকা নিয়ে যা কিছু অভিযোগ আছে সেগুলো নিরসন করতে হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবো। ভোটার তালিকা নিয়ে যেসব অভিযোগ, ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে তা যেন আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি।’
বিতর্কহীন নির্বাচন ও ভোটার তালিকা হালনাগাদের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ভুয়া ভোটার তালিকা, মৃত ভোটারদের উপস্থিতি, বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতি, দ্বৈত নাগরিকদের উপস্থিতি এমন অভিযোগগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্যই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা। আগামীতে সবার প্রত্যাশা হচ্ছে একটা সুন্দর, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও প্রশ্নহীন নির্বাচন করা। এ ধরনের নির্বাচনের পূর্ব শর্তই হচ্ছে একটা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভোটার তালিকা। আমরা সেই কাজ করছি।’
এর আগে, নতুন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের প্রত্যাশার কথা শোনেন। একইসঙ্গে ভোটাররা কেমন প্রার্থী প্রত্যাশা করেন তা নিয়েও মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় কুড়িগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উত্তম কুমার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরানসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
[ad_2]
Source link