আগামী সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী ও অংশীদার রাষ্ট্র জাপান।
রোবাবর (৪ মে) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনইচি বৈঠক করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন, বিনিয়োগ পরিস্থিতি এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক ইস্যু আলোচনায় উঠে আসে। বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন জাপানি রাষ্ট্রদূত। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা, দেশে ফেরা, দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ-বাণিজ্য এবং বাংলাদেশের নির্বাচন। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়কে তারা খুব আগ্রহের সঙ্গে লক্ষ্য করছেন এবং বাংলাদেশের মানুষের মতো তারাও মনে করছেন যে, এই সময় খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাটা ভালো সময়। কেননা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার দীর্ঘ অবদান রয়েছে। তার প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসা। অর্থাৎ তার ফিরে আসা থেকে শুরু করে সবকিছুকে তারা (জাপান) ভালোভাবে দেখছেন।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান হচ্ছে দ্বিপাক্ষিকভাবে বড় সম্পর্ক। জাপান আমাদের সবসময়ের উন্নয়নের অংশীদার এবং সহযোগী। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আগামী দিনে তাদের আগ্রহ যে, বাংলাদেশে নতুন সরকার আসবে তাদের দিকে। ভবিষ্যতেও তাদের কাজের পরিবেশ যাতে বিগত দিনের মতো অব্যাহত থাকে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশে তাদের অনেক বিনিয়োগ আছে। সেই ধারা যাতে অব্যাহত থাকে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে সবসময় জাপানি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি। তাদের বিনিয়োগের কোয়ালিটি ভালো। খরচ কম এবং ব্যবসায়িক শর্ত বাংলাদেশের জন্য সবসময় ভালো ছিল। যা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমীর খসরু আরও বলেন, সবাই যেভাবে নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। সেজন্য তারাও (জাপান) নির্বাচন নিয়ে জানতে চেয়েছে। কেননা, নির্বাচনের ওপর অনেক কিছুর নির্ভর করছে। তাদের তো সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। সেটা বিনিয়োগ হোক, অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সিদ্ধান্তসহ বাংলাদেশে নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকারের জন্য সবাই অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসবে এটাই সবার প্রত্যাশা।
বাংলাদেশে মেট্রোরেলের আরও বিভিন্ন রুটের নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এ বিষয়ে কাজের অগ্রগতি বা আরও বিনিয়োগ নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে আমীর খসরু বলেন, বিএনপিসহ প্রত্যেকটা সরকারের সঙ্গে দেখবেন জাপানের সঙ্গে কাজ করার একটা দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং সাকসেসফূলি অনেকগুলো কাজ আমরা করেছি। সেসবের অভিজ্ঞতা আছে।