[ad_1]
রাজনৈতিক দলগুলোর এই মিশ্র প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও বলতে হবে, দেশ এখন নির্বাচনী ট্রেনে উঠেছে, কবে সেটি চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছাবে, তা এখন নির্ভর করছে সরকার ও রাজনৈতিক দলের ওপর। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে দুটি বিকল্পের কথা বলেছেন। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ‘অল্প কিছু সংস্কার চায়’, তাহলে ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব। আর যদি আরেকটু বিস্তৃত সংস্কার, বিশেষ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে কিছু করতে হয়, তা হলে আরও ছয় মাস সময় লাগতে পারে।
আমরা মনে করি, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি ভবিষ্যতে স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার পথটাও বন্ধ করা জরুরি। এটাই জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু কাজটি শুধু বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একক ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। নির্বাচন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার—এটা কখন ও কোন পর্যায়ে হবে; এ ব্যাপারে ছাত্র-নেতৃত্বসহ জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের সব রাজনৈতিক শক্তির ঐকমত্য জরুরি।
নির্বাচনের ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক খবরটি হলো উচ্চ আদালত বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনীর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিল করেছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এই সংশোধনীবলে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার কবর রচনা করেছিল। দেশের জনগণের ভোটাধিকার হারানো এবং স্বৈরাচার চেপে বসার মূলে কাজ করেছে ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল। আদালতের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান বাতিল হওয়ায় ভবিষ্যতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে কেউ তা বাতিল করতে পারবে না বলে আশা করা যায়।
[ad_2]
Source link