[ad_1]
রোববার মাসুমদিয়া গ্রামের সড়কে ভ্যানে ইলিশ বিক্রির ছবি তুলতে গেলে আপত্তি জানান বিক্রেতা। পরে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, নৌকায় করে জেলেরা মাছ নিয়ে তীরে আসার পর তাঁর মতো অনেকেই তা কিনে ভ্যানে ফেরি করে বিক্রি করছেন। তবে প্রশাসনের অভিযানের ব্যাপারে তাঁদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে বলে জানান।
মাসুমদিয়া ভবানীপুর কেজিবি কলেজের শিক্ষক আলাউল হোসেন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা চলাকালে এর আগের বছরগুলোতে এভাবে ভ্যানে করে প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি হতে দেখিনি। অথচ এবার দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এভাবে ইলিশ ধরা ও বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত সবার ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।’
এদিকে ইলিশ ধরার সঙ্গে জড়িত জেলে ও বিক্রেতারা জানান, এবার বড় আকারের ইলিশ তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। বেশির ভাগ ইলিশের আকার ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম। এক কেজির ওপর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে খুব কম। সরেজমিনে দেখা গেছে, ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ভ্যানে ফেরি করে ইলিশ বিক্রির বিষয়টি জানা নেই। তবে এই প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা ও বিক্রির সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
[ad_2]
Source link