[ad_1]
গারো নারীদের চুলের খোঁপায় মোরগের পালক। পরনে বর্ণিল নাচের পোশাক। হাতে শস্যের ডালা। নৃত্যের মাধ্যমে গারোদের ১১ সম্প্রদায়ের নারীরা প্রতীকীভাবে সৃষ্টিকর্তার কাছে এ শস্য উৎসর্গ করেন। প্রতিটি সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে একটি করে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হলো।
এভাবেই শনিবার রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো উদ্যাপিত হলো গারো সম্প্রদায়ের ওয়ানগালা (নবান্ন উৎসব)। নগরের বাগানপাড়ায় ক্যাথিড্রাল চার্চ প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা আয়োজন করে রাজশাহী ওয়ানগালা উদ্যাপন পরিষদ।
শস্য সমর্পণে ১১টি খুঁটি দিয়ে একটি প্রাঙ্গণ ঘেরা হয়েছে। প্রতিটি খুঁটির মাথায় একটি করে মোমবাতি। সঙ্গে ঝুলছিল অতং, ডুয়াল,আ-উই, আ-বেঙ, রুগা, মে-গাম, চিসক, মাতচি, মতাবেঙ, চিবোক ও গারা-গানচিং সম্প্রদায়ের নাম। আগের দিনে শস্যদেবতার কাছে এভাবেই রীতি মেনে গারো নারীরা উৎপাদিত শস্য সমর্পণ করতেন। কিন্তু তাঁরা খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করায় তাঁদের সৃষ্টিকর্তার কাছে সমর্পণ করেন। আর ১১টি মোমবাতিতে ঘেরা প্রাঙ্গণের ভেতরে ছিল খ্রিষ্টের ক্রুশ। তাতেই খুতুব (পাগড়ি) পরানো হয়।
[ad_2]
Source link