টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য লিটন দাসকে অধিনায়ক করা হবে—এই গুঞ্জন আগে থেকেই ছিল। অধিনায়ক হিসেবে যেখানে লিটন দাসের নাম অনুমিতই ছিল, তবে সহ-অধিনায়ক হিসেবে শেখ মেহেদী হাসানকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে ক্রিকেট মহলে। কারণ, ঘরোয়া ক্রিকেটে কখনো নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা না থাকা এই অলরাউন্ডারকে হঠাৎ এমন গুরুদায়িত্বে আনা হয়েছে—যা বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আর এই পুরো প্রেক্ষাপটেই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—মেহেদী যখন দলে জায়গা পান, সেখানে নিয়মিত পারফর্মার মেহেদী হাসান মিরাজ কেন স্কোয়াডেই নেই?
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যাখ্যায় উঠে এসেছে, এই সিদ্ধান্ত এক সিরিজের জন্য পরীক্ষামূলক। বোর্ড একাধিক ক্রিকেটারকে নেতৃত্বের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখতে চায়। শেখ মেহেদীকে বেছে নেওয়ার পেছনে তার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ও পরিস্থিতি অনুধাবনের ক্ষমতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। নির্বাচকদের মতে, বর্তমান স্কোয়াডে অভিজ্ঞতা কম, আর শেখ মেহেদী এই সংস্করণে স্বাভাবিক পছন্দ হিসেবেই উঠে এসেছেন।
অন্যদিকে, মিরাজকে না রাখার পেছনে বোর্ডের যুক্তি—চার ওভারের স্পেলে কার্যকারিতা বিবেচনায় মেহেদী এখন বেশি উপযোগী। তবে এটা স্থায়ী নয় বলেও ইঙ্গিত মিলেছে, কারণ মিরাজ টেস্ট ও ওয়ানডেতে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ভবিষ্যতে টি-টোয়েন্টিতেও ফিরে আসার সুযোগ রয়েছে।
নেতৃত্বের লড়াইয়ে মিরাজ পিছিয়ে থাকার আরেকটি কারণ—স্কোয়াডেই না থাকা। তাসকিন আহমেদের ইনজুরি ও বিশ্রামের চাহিদা, অন্যদিকে সম্ভাব্য কোনো নেতৃত্ব উপযুক্ত নামের অনুপস্থিতি লিটনকে স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কত্বে পৌঁছে দিয়েছে। বোর্ড মনে করছে, টেকনিক্যাল দিক দিয়ে মজবুত ক্রিকেটারদের নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতাও বেশি হয়, আর লিটনের মধ্যে সেই সম্ভাবনা আছে।
লিটন তিন নম্বরে ব্যাট করবেন—এই সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে তার অধিনায়কত্বের ভার সামলানো সহজ করতে। বোর্ডের বিশ্বাস, নিজেকে ব্যাট হাতে মেলে ধরতে পারলেই নেতৃত্বেও ধারাবাহিক হবেন তিনি।
এদিকে, টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটে অধিনায়কত্বে বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না বলেই আভাস মিলেছে। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।