নিচে সারি সারি সবুজ পাহাড়, ফেওয়া লেকের স্বচ্ছ জল, দূরে ছোট ছোট গ্রাম—সব মিলিয়ে যেন রঙিন ক্যানভাস। মুগ্ধ হয়ে চারপাশ দেখছি, এমন সময় আমার নাকের ডগা ঘেঁষে উড়ে গেল একটা চিল। আমি তখন সত্যিই পাখি!
পাইলট হঠাৎ প্রস্তাব দিলেন, অ্যাক্রোবেটিক করতে চাই কি না। উত্তেজনায় কোনো কিছু না ভেবেই ‘হ্যাঁ’ বলে দিলাম।
শুরু হলো রোমাঞ্চকর পাক। চারবার। কখনো মনে হলো উল্টো হয়ে আছি, কখনো শরীরটাকে মনে হলো হাওয়ায় ঘূর্ণায়মান একটা পাতা। কতটা উচ্চতায় ছিলাম, কেমন ছিল গতি, কিছুই মনে নেই। শুধু জানি, দ্বিগুণ গতিতে চলছিল হৃৎস্পন্দন। এভাবে হাওয়ায় ভেসেছি প্রায় ৪৫ মিনিট। যখন মাটিতে নেমে এলাম, আমার মুখের দিকে তাকিয়ে হাসল বর।
সচরাচর সাড়ে আট হাজার রুপিতেই প্যারাগ্লাইডিং করা যায়। এজেন্সি ভেদে কম-বেশিও হয়। তবে অ্যাক্রোবেটিক আর বাড়তি সময়ের কারণে আমার লাগল ১০ হাজার রুপি।
যা-ই লাগুক, এই অভিজ্ঞতা যে আত্মজয়। ভয়কে পাশ কাটিয়ে নিজেকে উড়ে যেতে দেওয়া, এ যেন নিজের সীমাকে ছুঁয়ে দেখার সাহস।
পোখারার সেই সকাল, সেই উড়াল আমার জীবনে অনন্য এক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।