Homeদেশের গণমাধ্যমেপঞ্চগড়ে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি

পঞ্চগড়ে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা, হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি

[ad_1]

শীতের দাপট অব্যাহত রয়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। কনকনে বাতাসে বাড়ছে শীতের অনুভূতি। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত থেকে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায় জেলার পথঘাট। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকে কুয়াশা। গত কয়েকদিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা ১২ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) ভোর থেকে পঞ্চগড়ে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। হিমালয় থেকে আসা কনকনে হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শীত থেকে রক্ষা পেতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন মানুষ।

বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ। এর আগে, সকাল ৬টায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ।

এদিকে ভোর থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত সূর্যের দেখা না মেলায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, এ শীত মৌসুমে তারা দিনের তুলনায় রাতে বেশি শীত অনুভব করছেন। দিন-রাতে দুই রকম তাপমাত্রা। রাতে তাপমাত্রা মাইনাস জিরো ডিগ্রিতে নেমে আসার মতো শীত অনুভব করছেন তারা। উপায়ন্তর না পেয়ে সন্ধ্যা-ভোরে খড়কুটো জ্বালিয়ে ঠান্ডা কমানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দিনে-রাতে দুই রকম তাপমাত্রার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে জ্বর, সর্দি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে।

এদিকে উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার দাপটে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ। এর আগে, সকাল ৬টায় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।’

আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্যমতে, আগামী দিনগুলোতে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাবে। এতে নতুন বছরের শুরুতে তাপমাত্রা কমে শীত বাড়তে পারে। মাসের শুরু থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে। সেই সঙ্গে কুয়াশাও বাড়তে পারে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত