[ad_1]
ছোটদের শাড়ি নিয়ে কাজ করছে ‘ইনসি উইনসিস ক্লজেট’। এর স্বত্বাধিকারী নাকিব ইবনে ওমর বললেন, ঈদের কারণে বৈশাখের শাড়ি নিয়ে খুব একটা নিরীক্ষার সুযোগ পাননি তাঁরা। ভেবেছিলেন, তেমন সাড়া পাবেন না। তবে শেষ মুহূর্তে ক্রেতার আগ্রহ দেখে নতুন কিছু নকশার শাড়ি এনেছেন। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে শেষ সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই ২৫-৪০টি শাড়ি বিক্রি হয়েছে।
দেশীয় ফ্যাশন প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফ্যাশন উদ্যোক্তা সমিতি (এফইএবি বা ফ্যাশন উদ্যোগ) উৎসবের বেচাকেনা নিয়ে ২০১২ সালে একটি জরিপ করেছিল। সে তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোতে সারা বছরের মোট বিক্রির ৫০ শতাংশ হয় রোজার ঈদে। ২৫ শতাংশ হয় পয়লা বৈশাখে। পরপর কয়েক বছর সেই ধারা অব্যাহত ছিল। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে সেই কেনাকাটায় বেশ ভাটা পড়ে।
তাই গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় এবারের বৈশাখী পোশাকের খুব বেশি আয়োজন করেনি বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান। তবে শেষ মুহূর্তে ক্রেতার ব্যাপক সাড়া মেলায় অনেকেই এখন অল্পস্বল্প নতুন পণ্য আনছে। ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর স্বত্বাধিকারী সৌমিক দাশ বলছিলেন, ‘গত কয়েক বছরের চেয়ে এবারের কেনাকাটা বেশ বেড়েছে। ঈদের পরপরই মানুষ আবার বৈশাখের পোশাক কিনবে, এমনটা আমরাও আশা করিনি। চাহিদার তুলনায় আমাদের আয়োজন আসলেই কম ছিল। তবে যেটুকু ছিল, তার সবটুকুই বিক্রি হয়েছে।’
গত কয়েক দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও বৈশাখী কেনাকাটা নিয়ে মানুষের আগ্রহের বিষয়টি খেয়াল করা গেল। এই ক্রেতারা মূলত ঢাকার আজিজ সুপারমার্কেট এবং বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের ‘দেশি দশ’ ও ‘আড়ং’-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কেনাকাটা করেছেন।
[ad_2]
Source link