এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জনবলকাঠামোতে (অর্গানোগ্রাম) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের সুপারিশ করা উন্নীত গ্রেডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বেতন স্কেল উন্নীতকরণের চেকলিস্ট অনুযায়ী প্রস্তাব দিতে অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি, তাঁদের বেতনকাঠামোর সূচনা হতে হবে ১১তম গ্রেড থেকে। তবে প্রধান শিক্ষকের ক্ষেত্রে কমিটি যে বেতন গ্রেড দশম করার সুপারিশ করেছে, সেটা তাঁরা মেনে নিয়েছেন। আদালত যে তাঁদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দেওয়ার কথা বলেছেন, সেটা বাস্তবায়নের বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
এটাই হলো আমলাতন্ত্র। কোনো সমস্যা তারা দ্রুত সমাধান করতে চায় না। সেটা করলে তাদের গুরুত্ব কমে যায়। এই মানসিকতা থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বেরিয়ে আসতে হবে।
বর্তমানে সারা দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌনে চার লাখের মতো শিক্ষক আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম। আর সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম (শুরুর মূল বেতন ১১ হাজার টাকা, এর সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যোগ হয়)।