Homeদেশের গণমাধ্যমেপরিবারসহ কূটনীতিক হারুনের পাসপোর্ট বাতিল

পরিবারসহ কূটনীতিক হারুনের পাসপোর্ট বাতিল

[ad_1]

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দায়িত্ব থেকে দেশে না ফিরে অনুমতি ছাড়াই দায়িত্বপ্রাপ্ত দেশের বাইরে অন্য দেশে চলে গেছেন মরক্কোতে বাংলাদেশের সদ্যবিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদ। সেখানে অবস্থান করেই বর্তমান সরকার ও সরকার প্রধানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক লেখালেখিও শুরু করেছেন। সেকারণে এই কূটনীতিক ও তার পরিবারের সদস্যদের পাসপোর্ট বাতিল করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, মরক্কোতে বাংলাদেশের সদ্যবিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হারুন আল রশিদকে গতবছরের ১১ ডিসেম্বর দেশে প্রত্যাবর্তন ও অনতিবিলম্বে মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আদেশ দিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে তিনি তার পদে বহাল থেকে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব ত্যাগ করেন। বাংলাদেশে ফিরে আসার পরিবর্তে, তিনি বিভিন্ন অজুহাতে তার যাত্রা বিলম্বিত করেন। মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন ছাড়াই তিনি মরক্কোর রাবাত থেকে কানাডার অটোয়ায় চলে গেছেন বলে জানা গেছে। গত ৬ মার্চ ২০২৫ তারিখে তার অটোয়া থেকে ঢাকায় ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি ফিরে আসেননি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, শুক্রবার (১৪ মার্চ) হারুন আল রশিদ ফেসবুক প্রোফাইলে একটি লেখা পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি পূর্ববর্তী নিপীড়ক ফ্যাসিবাদী সরকারের গুণকীর্তনের পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে পরিস্থিতি ক্রমশ নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে চিত্রিত করার অপচেষ্টা করেছেন। তার পোস্টে হারুন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তার এবং তার পরিবারের পাসপোর্টসমূহ বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও এতে জানানো হয়েছে।

‘প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান বাংলাদেশে বিরাজমান পরিস্থিতি এবং বাস্তবতাকে সম্পূর্ণরূপে বিকৃত উপস্থাপন’ করে ফেসবুকে এধরনের লেখা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিষয়বস্তু গভীরভাবে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে বলা হয়, এধরনের রচনা লেখকের গোপন উদ্দেশ্য বা অসৎ অভিসন্ধির ইঙ্গিত দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পরিবর্তে তিনি কানাডায় চলে যান এবং সেখান থেকে ফেসবুকে লেখালেখি শুরু করেন। তিনি তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নিজেকে ‘নির্যাতিত কূটনীতিক’, ‘নির্বাসিত ঔপন্যাসিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন; যা মূলত বিদেশে সহানুভূতি অর্জনের অভিপ্রায়ে করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তার এবং তার পরিবারের পাসপোর্টগুলো বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। মন্ত্রণালয় মোহাম্মদ হারুন আল রশিদের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মন্ত্রণালয় তার কোনও কর্মকর্তা ও কর্মচারীর এ ধরনের কর্মকাণ্ড কোনোভাবে প্রশ্রয় দেয় না এবং ভবিষ্যতেও যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত