Homeদেশের গণমাধ্যমেপাকিস্তান থেকে এবার সবচেয়ে বেশি এসেছে চিনি

পাকিস্তান থেকে এবার সবচেয়ে বেশি এসেছে চিনি

[ad_1]

পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরে আসা সেই জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়। এদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙর থেকে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে আসার পর খালাস কার্যক্রম শুরু হয়। 

জাহাজটি থেকে ৮২৫টি একক কনটেইনার পণ্য বন্দরে খালাস হবে। এর মধ্যে ৬৯৯টি আমদানি হয়েছে করাচি থেকে বাকি ১২৬টি আমদানি হয় দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে। 

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামের কনটেইনার জাহাজটি বন্দরে পৌঁছায়। এটিতে করে এবার পাকিস্তান থেকে সবচেয়ে বেশি এসেছে পরিশোধিত চিনি ও খনিজ পদার্থ ডলোমাইট। বন্দরের বহির্নোঙর থেকে নিউমুরিং টার্মিনালে আসার পর পণ্য খালাস শুরু হয়।

জাহাজটির বাংলাদেশের প্রতিনিধি কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিজেনসি লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক ইসমাইল আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রবিবার বিকাল ৪টা থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১০০ কনটেইনার পণ্য খালাস হয়েছে। বাকিগুলোর খালাস চলছে। মোট ৮২৫টি খালাস হবে। এর মধ্যে করাচি থেকে ৬৯৯টি এবং জেবল আলী বন্দর থেকে এসেছে ১২৬টি কনটেইনার। সোমবার জাহাজটি খালি কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করবে।’

কনটেইনারে এবার যেসব পণ্য এসেছে

এবার পাকিস্তান থেকে সবচেয়ে বেশি এসেছে পরিশোধিত চিনি। মোট ২৮৫ কনটেইনারে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২০০ ব্যাগ চিনি আনা হয়েছে। চিনির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৭ হাজার টন। চিনিগুলো এনেছে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল, শেহজাদ ফুড প্রোডাক্টস, সেভয় আইসক্রিম কারখানা ও ব্রডওয়ে ইন্টারন্যাশনাল।

চিনির পর পাকিস্তান থেকে সবচেয়ে বেশি আনা হয়েছে ডলোমাইট। ডলোমাইট আমদানি হয়েছে ১৭১ কনটেইনারে। কাচশিল্পে ব্যবহারের জন্য এই কাঁচামাল এনেছে নাসির ফ্লোট গ্লাস ও আকিজ গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ।

পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া আরেকটি পণ্য হলো সোডা অ্যাশ। এই পণ্য আমদানি হয়েছে ১৩৮ কনটেইনারে। শিল্পে ব্যবহারের এই কাঁচামাল এনেছে নাসির ফ্লোট গ্লাসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

এ ছাড়া শতভাগ রফতানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো এনেছে কাপড়ের রোল। মোট ৪৬টি কনটেইনারে রয়েছে কাপড়ের রোল। আলু আমদানি হয়েছে ১৮ কনটেইনারে। এ ছাড়া জয়পুরহাটের পিঅ্যান্ডপি ট্রেডিং ২০ কনটেইনারে আখের গুড় এনেছে। এসব পণ্যের পাশাপাশি পুরোনো লোহার টুকরা, রেজিন, থ্রি-পিস ইত্যাদি পণ্য এসেছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা হয়েছে খাদ্যপণ্য, খেজুর, লুব অয়েল ও যন্ত্রাংশ ইত্যাদি। পাকিস্তানের পাশাপাশি আমিরাত থেকেও ১০ কনটেইনার চিনি আমদানি হয়েছে।

পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়েছিল গত নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। প্রথমবার ৩৭০ একক কনটেইনার আনা হয় জাহাজটিতে করে। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয় ২৯৭ একক কনটেইনার, বাকিগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। এবার আমিরাত ও পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছে ৮১১ একক কনটেইনার পণ্য, যার মধ্যে ৮৬ শতাংশই পাকিস্তানের।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘করাচি-দুবাই বন্দর হয়ে জাহাজটি দ্বিতীয়বারের মতো শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছে। রবিবার বিকালে এটি বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল জেটিতে আসে। এরপর পণ্য খালাস শুরু হয়। খালাস হবে ৮২৫ কনটেইনার। করাচি এবং দুবাই বন্দর থেকে এসব কনটেইনার ভর্তি পণ্য আমদানি হয়েছে।’ 

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘করাচি ও দুবাই বন্দর হয়ে চট্টগ্রামে আসা জাহাজ থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। এতে ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল রয়েছে।’

পাকিস্তান থেকে এতদিন শ্রীলঙ্কা বা সিঙ্গাপুর হয়ে চট্টগ্রামে পণ্য আমদানি হতো। তাতে এক কনটেইনার একবার এসব বন্দরে নামানো হতো। আবার চট্টগ্রামমুখী জাহাজে তুলে দেওয়া হতো। এতে সময় লাগতো বেশি। এখন সরাসরি জাহাজসেবা চালুর কারণে ১০ দিনে পণ্য হাতে পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানিতে সময় কম লাগছে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত