Homeদেশের গণমাধ্যমেপুতিনের হুমকি সত্ত্বেও পারমাণবিক হামলার আশঙ্কা কম, দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের 

পুতিনের হুমকি সত্ত্বেও পারমাণবিক হামলার আশঙ্কা কম, দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের 

[ad_1]

রাশিয়ার অভ্যন্তরে দীর্ঘ পাল্লার অস্ত্র ব্যবহার করে হামলার জন্য ইউক্রেনকে অনুমতি দেওয়া হলেও পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়নি। তবে পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবে নাশকতা অভিযান বাড়াতে পারে রাশিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা এই দাবি করেছেন। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

গত সাত মাসে একাধিক গোয়েন্দা মূল্যায়নে দেখা গেছে, ইউক্রেনের উপর থেকে অস্ত্র ব্যবহারে বিধিনিষেধ শিথিল করলেও পারমাণবিক উত্তেজনার আশঙ্কা এখনও কম। প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পরেও এই পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

একজন কংগ্রেস সদস্যের সহকারী জানিয়েছেন, বিভিন্ন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে রাশিয়ার পারমাণবিক নীতিতে পরিবর্তন আসবে না।

উল্লেখ্য, এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৩০৬ কিলোমিটার।

রাশিয়া সম্প্রতি একটি নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ওয়াশিংটন ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য সতর্কবার্তা ছিল এটি। তবে গোয়েন্দা মূল্যায়ন অপরিবর্তিত রয়েছে।

এক মার্কিন কর্মকর্তার দাবি, রাশিয়া পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়াবে না বলে তাদের বিশ্বাস। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় সামরিক শক্তি প্রদর্শন করতে পারে ক্রেমলিন। নতুন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা তারই অংশ হতে পারে।

বাইডেন প্রশাসনের ভেতরে ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র ব্যবহারে বিধিনিষেধ শিথিল করার বিষয়ে বিতর্ক ছিল। শুরুতে হোয়াইট হাউস, প্রতিরক্ষা দপ্তর ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের কিছু কর্মকর্তা উদ্বিগ্ন ছিলেন যে এটি রাশিয়াকে উসকে দিতে পারে, যার ফলে মার্কিন সামরিক ও কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা ছিল।

পারমাণবিক উত্তেজনার ঝুঁকির বিষয়ে সরাসরি উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কয়েকজন কর্মকর্তা। তবে উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধে যুক্ত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাইডেন তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।

এখন অনেক কর্মকর্তা বলছেন, পারমাণবিক ঝুঁকির আশঙ্কা অতিরঞ্জিত ছিল। তবে ইউক্রেনের সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনও বিপজ্জনক। রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে গোপনে প্রতিশোধ নেওয়ার বিকল্প উপায় খুঁজে পেতে পারে।

ইউরোপে রাশিয়ার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে জর্জটাউন ইউনিভার্সিটির গবেষক অ্যাঞ্জেলা স্টেন্ট বলেছেন, উত্তেজনার ঝুঁকি কখনও ছিল না এমন নয়। তবে এখন উদ্বেগ আরও বেশি।

হোয়াইট হাউস ও ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ক্রেমলিনের দিক থেকেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত