[ad_1]
অপুষ্টি বা দেশের মানুষের মধ্যে অণুপুষ্টিকণার পরিস্থিতি বা তার কারণ জানার জন্য নিয়মিত জরিপ হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের উপপরিচালক মো. আকতার ইমাম। দেশের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ অণুপুষ্টিকণার ঘাটতিতে ভুগছে। বস্তির ৪০ শতাংশ শিশুর উচ্চতা বয়সের তুলনায় কম।
‘মায়ের আঁচল ব্যাকটেরিয়ার খনি’ মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড সাউথ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক খায়রুল ইসলাম বলেন, ছোট ছোট বিষয়ে মনোযোগী হওয়া, সঠিক বার্তা দেওয়া খুবই জরুরি। মা কাজ করেন, প্রতিটি কাজ শেষে হাত মোছেন আঁচলে। সেই অপরিষ্কার আঁচল দিয়ে শিশুর মুখ পরিষ্কার করেন। এক হাতে সাবান মেখে অন্য হাতে হাতল চেপে নলকূপের বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করা কঠিন। তিনি বলেন, প্রবহমান ধারার জন্য নলের পানি ভালো, কিন্তু এই পানি পায় দেশের মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ।
শিশু অপুষ্টির অন্যতম কারণ ‘জাঙ্ক ফুড’ সংস্কৃতির বিস্তার। এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাতৃ ও শিশুপুষ্টিবিষয়ক ন্যাশনাল প্রোফেশনাল অফিসার ফারিয়া শবনম বলেন, শিশুদের বাণিজ্যিক খাবার খাওয়া আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। এক বছরের শিশুকে বাণিজ্যিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। এসব খাবারে অতিরিক্ত চর্বি, অতিরিক্ত চিনি ও অতিরিক্ত লবণ থাকে। এসব খাবারের প্রচার সবচেয়ে বেশি হয় ইলেকট্রনিক মাধ্যমে। বিজ্ঞাপনের ব্যাপকতায় ঘরের খাবারের বিষয়গুলো চাপা পড়ে যাচ্ছে, সাধারণ খাবারের ধারণা বদলে যাচ্ছে।
সিলেট বিভাগে খর্বকায় শিশুর হার সবচেয়ে বেশি (৩৪ শতাংশ) বলে উল্লেখ করেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, জন্ম ওজন কম হলে, আয়োডিনযুক্ত লবণ না খেলে, বুকের দুধ না খেলে শিশু অপুষ্টির শিকার হয়। মা–বাবার তৃতীয় ও চতুর্থ সন্তানের অপুষ্টির ঝুঁকি থাকে। মায়ের বয়স, শিক্ষা ও ওজন কম থাকলে শিশুর পুষ্টির ঘাটতি থাকে।
[ad_2]
Source link