শ্রম মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো বলছে, ৯ মাসে মোটাদাগে তিনটি বড় কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল এবং আছে এ মন্ত্রণালয়। এগুলো হচ্ছে, পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিক ও মালিকপক্ষের ১৮ দফা যৌথ ঘোষণা, শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগ এবং বেক্সিমকো শিল্পপার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ১১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন। শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধের মাধ্যমে বেক্সিমকোর অংশটি এক রকম শেষ হয়েছে। যৌথ ঘোষণার আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। আর শ্রম আইন সংশোধনের কাজটি এখনো আছে প্রক্রিয়ার মধ্যে।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত এবং ন্যূনতম মজুরিহীন খাতের শ্রমিকদের জন্য সংস্কার উদ্যোগ এখনো নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি সামলাতেই তারা ব্যস্ত। উল্লেখ্য, বিলসের তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট শ্রমিকশ্রেণির ৮৫ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের।
শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, শুধু পোশাক নয়, চামড়া খাতেও মজুরি বেড়েছে। ৪৩টি খাতের মজুরি বোর্ড ৫ বছর পরপর নতুন করে সুপারিশ করবে। তবে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের ব্যাপারে পরিপূর্ণ নজর দেওয়া হবে শ্রম আইন সংশোধন হওয়ার পর। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শ্রমিক-মালিকদের সম্পর্কের দূরত্ব কমিয়ে আনার ব্যাপারে ভূমিকা রাখছি। আর জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার ব্যাপারে আইএলওর সঙ্গে কাজ করছি।’
চামড়া খাতে নতুন মজুরিকাঠামো ঘোষণা করা গত নভেম্বরে। এতে ট্যানারিশিল্পে নিম্নতম মজুরি ধরা হয় ১৮ হাজার টাকা। ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, বোর্ড গঠনের পর মজুরিকাঠামো ঘোষণা করতে লেগেছে ১১ মাস। ৬ মাস চলে গেলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। একটি কারখানাও নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করেনি।