[ad_1]
প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে দুই অনলাইন শাড়ি ব্যবসায়ী প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৩১টি জামদানি শাড়ি হারান। এ ঘটনায় বুধবার (১৫ মে) দিবাগত রাতে দক্ষিণখান থানার কসাইবাড়ী হাজী মার্কেট এলাকা থেকে প্রতারক ও চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির দক্ষিণখান থানা-পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো— মেহেদী হাসান শাওন (২৪), মো. আশরাফুল (২১), সাব্বির হোসেন রিমন (২৫) ও মো. সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ (২৫)। এ সময় তাদের কাছ থেকে হতে চুরি হওয়া ১১টি জামদানি শাড়ি উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
থানা-পুলিশের বরাত দিয়ে ডিসি তালেবুর রহমান জানান, গত ১২ মে দক্ষিণখান থানার মোল্লারটেক কসাইবাড়ী এলাকায় ওই চক্রের খপ্পরে পড়েন দুই ব্যবসায়ী, নুর মোহাম্মাদ রাব্বি (২৪) ও তার বড় ভাই ছহিম (৩৫)। তারা জামদানি শাড়ি বিক্রির জন্য ওই এলাকায় যান এবং সেখানে প্রতারকদের হাতে নিগৃহীত হন। এই ঘটনায় বুধবার (১৪ মে) দক্ষিণখান থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মাদ রাব্বি।
দক্ষিণখান থানা সূত্রে জানা যায়, বাদী নুর মোহাম্মাদ রাব্বি নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তার ফেসবুক পেইজ ‘Jamdani Gram–জামদানি গ্রাম’র মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অর্ডার নিয়ে জামদানি শাড়ি বিক্রি করতেন। অজ্ঞাতনামা এক নারী ক্রেতার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কথাবার্তার একপর্যায়ে ক্রেতা তার বোনের বিয়ে উপলক্ষে ৭ থেকে ৮টি জামদানি শাড়ি কিনবে করবে বলে জানায়।
নারী ক্রেতা শাড়ি যাচাই করার জন্য ২০ থেকে ২৫টি জামদানি শাড়ি দক্ষিণখান থানাধীন মোল্লারটেক বটতলায় নিয়ে আসার জন্য বলে। তার কথা মতো সরল বিশ্বাসে তার বড় ভাই ছহিমকে সঙ্গে নিয়ে গত ১২ মে সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ২০ মিনিটে ৩১টি জামদানি শাড়ি নিয়ে সিএনজি যোগে ওই এলাকায় যায়। তখন সেই নারী ক্রেতাকে ফোন করলে বাদীকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার জন্য বলে। তখন বাদী ও তার ভাই ওই জায়গায় অপেক্ষা করতে থাকে। প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর চারজন লোক ক্রেতা মুনের পরিচয় দিয়ে বাদীকে একটি অন্ধকার গলির ভেতরের দিকে যেতে বলে। বাদীর সন্দেহ হলে তিনি দ্রুত জামদানি শাড়ি নিয়ে সিএনজিসহ ওই জায়গা থেকে রওনা করেন।
পথিমধ্যে কাসাইবাড়ী বাজারের দিকে যাওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা সেই ক্রেতা বাদীকে ফোন করে তার কাছে থেকে জামদানি শাড়ি কিনবে বলে আশ্বস্ত করে এবং কসাইবাড়ী এলাকার কানাডা প্লাজার সামনে থাকার জন্য বলে। বাদী রাত আনুমানিক ৮টা ১০ মিনিটে সেখানে পৌঁছানোর পর হঠাৎ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দুষ্কৃতকারী দল তাদের ওপর আক্রমণ করে। তারা এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে ১৯টি জামদানি শাড়ির একটি গাঁইট ছিনিয়ে নেয়— যার মূল্য প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা পেশাদার চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
[ad_2]
Source link