টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকারের বিষয়টি কল্যাণ বা চ্যারিটি নয়, এটা অধিকার। এ বিষয়ে মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। গত ৫৪ বছরে যে পরিবর্তন হয়েছে তা প্রত্যাশিত নয়। সরকারি অর্থায়নে যেসব ভবন, চলাচলের অবকাঠামো হয়েছে তা এখনো প্রতিবন্ধীবান্ধব নয়। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে তা এই প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রযোজ্য। কারণ, আন্দোলনের চেতনাই ছিল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডিআরডব্লিউ মো. জাহাঙ্গীর আলম। সেখানে তিনি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সমস্যা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা সংক্রান্ত দুটি মন্ত্রণালয় থাকলেও প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার বিষয়টি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এই শিশুদের শিক্ষাকে অধিকার হিসেবে না দেখে কল্যাণের দৃষ্টিতে দেখা হয়। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুদের জন্য কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করেনি, এমনকি বিদ্যমান কর্মসূচিগুলোতে তাদের সম্পৃক্ত করেনি। একইভাবে যুব মন্ত্রণালয়ও প্রতিবন্ধী যুবাদের নিয়ে কর্মসূচি গ্রহণ করে না। ক্রীড়া, স্বাস্থ্যগত বিষয়ে মন্ত্রণালয় থাকলেও প্রতিবন্ধীদের এই বিষয়গুলো পরিচালিত হয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। এ বিষয়গুলো ভাগ করে পুনর্বিন্যাস না করলে প্রতিবন্ধীরা করুণার পাত্র হিসেবেই বিবেচিত হতে থাকবে। ডিআরডব্লিউ বলেছে, ২০০৮ সালে পেশ করা সুপারিশ অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ভাগ করে সংশোধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি আচরণগত পরিবর্তন আনতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয় রাখার দাবিও জানায় সংগঠনটি।