[ad_1]
পৃথিবীর এবং মানবজাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উৎপাদন ও ভোগের ভিত্তিতে যে প্রবৃদ্ধির হিসাব, তা তামাদি হয়ে পড়ছে। অনেকেই ডিগ্রোথ; অর্থাৎ ভোগ কমানোর তাগিদ দিচ্ছেন। বিজ্ঞানী মার্টিন রিজের সতর্কবার্তা মনে রাখা দরকার। তিনি বলেছেন, একবিংশ হবে মানবজাতির চূড়ান্ত শতক। বিনাশের সর্বনাশা উন্নয়নের রথ থামাতে হবে। অতিমারি করোনাতেই শেষ হয়নি, আরও ভয়ংকর সব রোগের আঘাত হানার শঙ্কা বাড়ছে। এ রকম বাস্তবতায়ও পশ্চিমের মজ্জাগত সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন, যুদ্ধাস্ত্রের অর্থনীতি কি স্তিমিত হওয়ার পরিবর্তে তেজিয়ান হচ্ছে না? প্যালেস্টাইনে বৎসরাধিক কাল ধরে ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ এবং গণহত্যা চলছে, অথচ কোথাও কার্যকর কোনো প্রতিবাদ নেই। নব্বই শতাংশ মুসলমানের এই বাংলাদেশেও নেই। সিরিয়ায় বর্তমানে ইরাক-লিবিয়া-আফগানিস্তানের মতো পরিণতির কাজ চলছে। বিগত সরকারের অপরাধের বিচার ছাড়াও ঘরেও তো অনেক কাজ, দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতা ভয়ংকর পর্যায়ে রয়েছে, বেসরকারি খাতের বিকাশ আশানুরূপ নয়, বেকারত্ব অসহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, সমাজে অস্থিরতার পাশাপাশি ভয়ংকর অপরাধের প্রবণতা আরও বেড়েছে।
ফলে পালাবদলের এই জটিল, তবে সম্ভাবনার সময় বড্ড বেশি ক্রোধ, প্রতিহিংসা, ঘৃণার হুমকি-বয়ান শুনে একটু থমকে যাই। এসবই যে মানুষের নেতিবাচক প্রবণতা, প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ করে। তখন যেন মনে পড়ে যায় কারামুক্তির পর ম্যান্ডেলার উক্তি, ‘আমি যখন ঘরের দরজা থেকে তোরণের দিকে মুক্তির পথে হাঁটছিলাম, তখন জানতাম, যদি মনের তিক্ততা ও ঘৃণা পেছনে রেখে না যাই, তবে মুক্তির পরেও আমি বন্দীই হয়ে থাকব।’
সত্যিকারের পরিবর্তন ঘটাতে হলে নেতৃত্বকে শেষ পর্যন্ত মানবের (মহামানবের?) ভূমিকাই নিতে হয়।
আবুল মোমেন: প্রাবন্ধিক; দৈনিক আমাদের সময়–এর সম্পাদক
[ad_2]
Source link