[ad_1]
ব্যক্তির আদর্শ, সম্মান ও আবেগের চেয়ে দেশ বড় বলে মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য অনিবার্য। আগেকার যেকোনো বক্তব্য ও শব্দচয়ন, যা বিভাজনমূলক ছিল, সেগুলোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এমন এক সময় এই ফেসবুক পোস্ট দিলেন, যখন নানা কারণে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ উত্তপ্ত।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের দায়িত্ব গ্রহণের দাবি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরেই জোরালো আন্দোলন চলছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগের দাবিও করে আসছে বিএনপি। অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ চেয়ে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে। আবার গত বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে অফিসার্স অ্যাড্রেসে কথা বলেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সেখানে সেনাপ্রধান আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ওপর জোর দিয়েছেন। এ রকম অবস্থায় সরকারের উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা তাঁদের মতামত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুলে ধরেছেন। তাঁদের বক্তব্যে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তাঁর ফেসবুক পেজে আরও লেখেন, ‘সরকারে আর এক দিনও থাকলে অভ্যুত্থানের সব শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করতে চাই। পুরাতন বন্দোবস্তের বিভেদকামী স্লোগান ও তকমাবাজি, যা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে হত্যাযোগ্য করে তোলে, সেগুলো পরিহার করলেই আশা করি, ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।’
বাংলাদেশের শত্রুরা ঐক্যবদ্ধ ও আগ্রাসী উল্লেখ করে মাহফুজ আলম লেখেন, ‘সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে। দেশপ্রেমিক জনগণ যাঁরা জুলাই অভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন, তাঁদের সামনে দীর্ঘ পরীক্ষা। এ পরীক্ষা ঐক্যের ও ধৈর্যের। এ পরীক্ষা উতরে যেতেই হবে।’
[ad_2]
Source link