Homeদেশের গণমাধ্যমেবছরে বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকার বেশি, তবু শ্রোতা নেই বাংলাদেশ বেতারের

বছরে বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকার বেশি, তবু শ্রোতা নেই বাংলাদেশ বেতারের

[ad_1]

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের শাসনামলে তৎকালীন সচিব ও গণমাধ্যমব্যক্তিত্ব আসাফ্উদ্দৌলাহকে চেয়ারম্যান করে ১৬ সদস্যের একটি স্বায়ত্তশাসন নীতিমালা প্রণয়ন কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশন যুক্তরাজ্য, ভারত, ফিলিপাইনসহ কয়েকটি দেশ ঘুরে অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের বাস্তবতায় বেতার ও টেলিভিশনের পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্তশাসনের জন্য সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন পেশ করেছিল। পরের বছর সে প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে উল্লেখ করা হয়েছিল, বিশ্বের পরিবর্তমান অবস্থা, তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং মুক্ত আকাশের বিস্তারের কথা মনে রাখলে এই সত্য অনিবার্য হয়ে ওঠে যে বেতার ও টেলিভিশনকে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করা এ যুগে অবশ্যম্ভাবী। তাই এই দুই মাধ্যমের স্বায়ত্তশাসন যত দ্রুত দেওয়া যায়, ততই মঙ্গল। তাতে দেশের ভাবমূর্তিও বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল হবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক শামীম রেজা কমিউনিটি রেডিও নিয়ে গবেষণা করেছেন। সরকারের প্রচারযন্ত্র বলেই কি জনগণের করের টাকায় বাংলাদেশ বেতারের মতো এমন একটি মাধ্যম চলবে কি না, অথবা এর জন্য কোন ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন, জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশ বেতারের সম্পাদনারীতি বদলাতে হবে। আর্থিক দিককে স্বায়ত্তশাসিত করতে হবে। বেতারকে প্রতিযোগিতার মধ্যে না ফেললে সে অনুষ্ঠান, সংবাদের বিষয়বস্তুতে পরিবর্তন নিয়ে ভাববে না। 

শামীম রেজা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটি অনেক বেশি আমলানির্ভর হওয়ায় এখানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে ধারাবাহিকতা থাকে না। প্রতিষ্ঠানের নিয়োগবিধিতে পরিবর্তন আনতে হবে। বর্তমান জনবলের ১০ ভাগের ১ ভাগ দিয়েও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সম্ভব, যদি তাঁরা দক্ষ হন। প্রয়োজনে স্বায়ত্তশাসিত হতে পারে। তবে নিশ্চিত করতে হবে জবাবদিহি।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত