Homeদেশের গণমাধ্যমেবলেছিলেন নূর হোসেনের বাবা, ‘নূর হোসেন যা চেয়েছিল, তা তো হলো, গণতন্ত্র...

বলেছিলেন নূর হোসেনের বাবা, ‘নূর হোসেন যা চেয়েছিল, তা তো হলো, গণতন্ত্র তো মুক্তি পেল না’

[ad_1]

বইটি থেকে জানা যায়, অনেকের মতোই ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে দক্ষিণের শহর বরিশালের মঠবাড়িয়ার ঝাটিবুনিয়া গ্রাম (বর্তমানে পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত) থেকে ঢাকা শহরে এসেছিলেন নূর হোসেনের পিতা মজিবুর রহমান। যেদিন তিনি লঞ্চে চড়ে বরিশাল থেকে ঢাকায় এসেছিলেন, সেই দিনটি ছিল একটি ঐতিহাসিক দিন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। রাজধানীতে পা রাখামাত্রই হোঁচট খান তিনি। সদরঘাটে অনেকেই সেদিন মজিবুর রহমানকে ঢাকা শহরে প্রবেশে বাধা দিয়ে বলেছিলেন, ঢাকা শহরের অবস্থা খারাপ, ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়েছে, বেশ কয়েকজন ছাত্র মারা গেছে। ঢাকার শুরুর জীবনে তিনি তৎকালীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বর্তমানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়—বুয়েট) হোস্টেলে মসলা পেষার কাজ, পরে সেখানেই সিক বয় ডিউটির কাজ, সর্বশেষ অনেক দিন হোস্টেলে বাবুর্চির কাজ করেন। পঞ্চাশের দশকের সেই দিনগুলোতে তিনি ব্যাপকভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের সংস্পর্শে আসেন। এ সময় মজিবুর রহমানের মধ্যে একধরনের রাজনৈতিক সচেতনতা তৈরি হয়। এরপর দীর্ঘদিন তিনি রিকশা চালিয়েছেন। ১৯৬২ সাল থেকে ঢাকা শহরে তিনি বেবিট্যাক্সি চালান। মালিককে প্রতিদিন ১০ টাকা করে জমা দিতে হতো। এ সময় রাজনীতির অনেক উত্থান-পতন দেখেছেন মজিবুর রহমান। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের সময় নবাবপুর রোডে শেরেবাংলা ফজলুল হক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে করমর্দন করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ’৭০–এর নির্বাচন, ’৭১–এর মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ—পুরো সময়টাতে নূর হোসেনের বাবা ছিলেন ঢাকা শহরে। প্রায় সব ঘটনা বিশেষ করে মিছিল–মিটিং, গণজমায়েত, কারফিউ, গুলি সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের পরও একইভাবে আন্দোলন সংগ্রাম দেখেছেন তিনি। কখনো কখনো অংশগ্রহণও করেছেন।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত