Homeদেশের গণমাধ্যমেবহিরাগতদের ডেকে শিক্ষার্থীদের পেটালেন শিক্ষক

বহিরাগতদের ডেকে শিক্ষার্থীদের পেটালেন শিক্ষক

[ad_1]

জামালপুরে সরিষাবাড়ীতে বহিরাগতদের দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাটাবুগা দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

মাদ্রাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় পরীক্ষা দিতে যায়। এ সময় ৯ম শ্রেণির কক্ষে ময়লা-আবর্জনা থাকায় শিক্ষার্থীরা আয়া আঞ্জুমান আরাকে ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে বলে। কিন্তু আয়া ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে এ নিয়ে আয়া ও শিক্ষার্থীদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আয়া আঞ্জুমানারার স্বামী ও ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক রমজান আলী বিষয়টি শুনে শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, ‘আমার বউ এসব করতে পারবে না।’

পরে এ নিয়ে শিক্ষক রমজান আলীর ওপর ক্ষিপ্ত হন শিক্ষার্থীরা। পরে রমজান আলী ফোন করে বহিরাগত লোকজন এনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধর করায়। এতে আহত হন মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মী রুহুল আমিন, ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আল-আমিন, শাকিল, সোহানসহ অন্তত ১০ জন। পরে খবর পেয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, একাডেমিক সুপারভাইজার ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে আহত শিক্ষার্থী আল-আমিন, শাকিল ও সোহান জানান, আয়া মাদ্রাসায় আসেন না, আসলেও তার সঙ্গে কথা বলা যায় না। আয়া আঞ্জুমান আরাকে খালা ডাকলে তিনি রেগে যান। তাকে ম্যাডাম ডাকতে বলেন। কিছু বলতে গেলে তার স্বামী রমজান স্যার পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। আয়াকে কক্ষ পরিষ্কার করতে বলায় বহিরাগত লোকজন এনে তারা আমাদের মারধর করেছে।

মাদ্রাসার নিরাপত্তাকর্মী রুহুল আমিন বলেন, আঞ্জুমান আরা এবং তিনি একইসঙ্গে চাকরি নিয়েছেন। কিন্তু তিনি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করলেও আয়া অনুপস্থিত থাকেন। শুধু মাস শেষে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন তুলে নেন। আয়ার কাজগুলোও আমাদেরই করতে হয়। বহিরাগত লোকজন এনে ছাত্রদের ওপর হামলার সময় প্রতিবাদ করায় আমাকেও মারধর করে।

অভিযুক্ত শিক্ষক রমজান আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই। তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান।

মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট আইয়ুব আলী বলেন, আয়া আঞ্জুমান আরা ও তার স্বামী রমজান আলীকে অফিসিয়ালভাবে বারবার সতর্ক করা হলেও কোনো পরিবর্তন হননি। বরং বিভিন্ন সময় দলীয় প্রভাবে হুমকি-ধমকি এবং বহিরাগত লোকজন নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের নানাভাবে লাঞ্ছিত করেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, হামলা-মারধরের বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এর আগেও অভিযুক্ত ওই দম্পতির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

সরিষাবাড়ী থানার ওসি মো. চাঁদ মিয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত