Homeদেশের গণমাধ্যমেবাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণে তিনটি শূন্যের তাৎপর্য

বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণে তিনটি শূন্যের তাৎপর্য

[ad_1]

এই পরিমাণ গ্রামীণ এলাকার চেয়ে তিন গুণ বেশি। বোঝাই যাচ্ছে, শহর অঞ্চলে পরিবেশগত চাপ অনেক বেশি। সাম্প্রতিক সময়ে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু এসব উদ্যোগের কার্যকারিতা বাস্তবায়নগত দুর্বলতার কারণে কম। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করছে। এই মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি এ সংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

ত্বরান্বিত করছে পরিবেশগত ক্ষতি। সম্পূর্ণ প্লাস্টিকমুক্ত ভবিষ্যৎ এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। তবে বাংলাদেশকে প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর এবং দূষণ দূর করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। একটি ব্যাপক ও সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসের লক্ষ্য নিয়ে একটি টেকসই প্লাস্টিক ব্যবস্থাপনা জাতির পরিবেশগত কৌশলের ভিত্তি হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

প্লাস্টিকের সঙ্গে বাংলাদেশে পরিবেশগত আরেকটি বড় সমস্যা শব্দদূষণ। এই দূষণে জনগণের স্বাস্থ্যর ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলছে। সম্প্রতি ঢাকা মহানগরকে বিশ্বব্যাপী ৬১টি সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ নগরীর মধ্যে সবচেয়ে শব্দদূষণের শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ঢাকার গড় শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিবেল পর্যন্ত পৌঁছেছে।

এই মাত্রা সহনীয় মানের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। রাজধানীর ৬৫ শতাংশ ট্রাফিক পুলিশ দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ শব্দমাত্রার কারণে শ্রবণ ও ঘুমের ব্যাঘাতজনিত সমস্যায় ভোগার কথা জানিয়েছেন। দীর্ঘস্থায়ী শব্দের প্রভাবজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভুগছেন নাগরিকেরা। এর মধ্যে আছে বিরক্তি, ঘুমের ব্যাঘাত এবং আরও গুরুতর পরিণতি। যথা হৃদ্‌রোগ ও বিপাকীয় ব্যাধি। সেই সঙ্গে শিশুদের শব্দদূষণে দীর্ঘকালীন উপস্থিতি তাদের মধ্যে জ্ঞানসংক্রান্ত ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

এসব সমস্যার সমাধান জাতীয়ভাবে অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। ২০২৫ সালের মধ্যে শব্দদূষণবিহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শক্তিশালী নীতিমালা প্রণয়ন, জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং শব্দদূষণ–সংক্রান্ত আইনকানুনের ফলপ্রসূ প্রয়োগ আশু প্রয়োজন।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত