[ad_1]
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুডিস। সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশিত ওই রেটিংস প্রতিবেদনে মুডিস জানায়, বাংলাদেশের স্বল্পমেয়াদি ইস্যুয়ার রেটিংস ‘নট প্রাইম’ বা শ্রেষ্ঠ গুণসম্পন্ন নয় হিসেবে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। এই প্রতিবেদনের মাত্র দুই দিনের মাথায় আবার দেশের ছয়টি বেসরকারি ব্যাংকের ঋণমানও কমায় সংস্থাটি। গত বুধবার ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও প্রিমিয়ার ব্যাংকের ঋণমান কমানোর কথা জানায় মুডিস।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা, দুর্নীতি প্রতিরোধব্যবস্থা, নির্বাচন ও জনপ্রাশাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মৌলিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থনীতি সামাল দেওয়া ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক বড় ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্যে তিনটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে—১. ব্যাংকগুলোর সম্পদ মানের পর্যালোচনা, যা কিনা পরে ব্যাংক খাতের বড় সংস্কারের দিকে ধাবিত করবে। ২. বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম শক্তিশালী এবং ৩. চুরি হওয়া অর্থ দেশ–বিদেশ থেকে উদ্ধার করা। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ এবং ন্যায়সংগত ও টেকসই উন্নয়নের জন্য সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারে টাস্কফোর্স গঠন করেছে সরকার। এসব টাস্কফোর্স কাজ শুরু করেছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনাও করছে। টাস্কফোর্সে সরকারে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতা ও রাজনৈতিক প্রতিনিধিরা রয়েছেন। এসব উদ্যোগের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, যুক্তরাজ্য সরকার, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরা যুক্ত রয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও বলেছে, সংস্কার কার্যক্রম অন্তর্ভুক্তিমূলক করার প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে সরকারে গৃহীত পদক্ষেপে ভুল এড়ানো। দেশে দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও ন্যায়সংগত সামাজিক উন্নয়নের জন্য সরকার সংস্কারকে অগ্রাধিকার ও বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এসব পদক্ষেপে তাৎক্ষণিকভাবে অর্থনৈতিক সুবিধা না–ও পাওয়া যেতে পারে, তবে সেগুলো শক্তিশালী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও সামাজিক অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করবে।
[ad_2]
Source link