[ad_1]
প্রসঙ্গত, উপমহাদেশে হিন্দু-মুসলিমের দীর্ঘ জটিল সম্পর্কের বিষয়টাও মনে রাখতে হবে। এটাও বলে নেওয়া ভালো যে পাকিস্তান আমলে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিসেবে হিন্দুসমাজ রাষ্ট্রের কাছ থেকে নাগরিক হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠের তুল্য সমমর্যাদা পায়নি। আবার হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের যে দীর্ঘ জটিল ইতিহাসের কথা বলছি, তার মধ্যে উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে মুসলিম মানসে বর্ণহিন্দুর কাছ থেকে প্রাপ্ত অবমাননা, বৈষম্য ইত্যাদির যে ক্ষত রয়েছে, তাকেও উপেক্ষা করা যাবে না।
সাধারণভাবে মনে করা হয়, আওয়ামী লীগ আমলে হিন্দুরা ভালো থাকে; ঐতিহাসিকভাবে সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া, তারা এ দলের ভোটব্যাংক হিসেবেই ভূমিকা নিয়ে এসেছে। সত্যি যে আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক বয়ান নেই, তাদের আমলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল পদেও এদের সংখ্যা বেড়েছিল, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। কিন্তু গভীরে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এই অনুকূল আচ্ছাদনের আড়ালে হিন্দুদের বাড়ি, জমি বা মন্দির-মঠের জায়গা দখলে আওয়ামী লীগের নেতারাই বেশি অগ্রণী ছিলেন।
আজ তলিয়ে দেখলে এটাও বলতে হবে, আওয়ামী লীগ আমলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের যে সোনালি অধ্যায়ের কথা বলা হয়, তা আদতে ছিল দুই সরকার এবং উভয় দিকের সরকার-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। দুই দেশের নাগরিক সমাজের মধ্যে আলাপ-সংলাপ, ভাববিনিময়ের তেমন কোনো তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল না। কিন্তু দুই দেশের সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নে এ রকম উদ্যোগই গুরুত্বপূর্ণ।
[ad_2]
Source link