[ad_1]
এ বছর হতাহত যাঁরা
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজারের উখিয়ার মধ্যবর্তী রেজু আমতলী সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি এক কাঠুরিয়া আহত হন। তাঁর নাম মনছুর আলম (৩০)। তিনি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের তুলাতলি গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে। বিস্ফোরণে তাঁর বাঁ পা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
এ ছাড়া আহত ব্যক্তিরা হলেন ২৬ এপ্রিল মোহাম্মদ জোবায়ের (৩০), ৮ এপ্রিল মো. তৈয়বের (৩৫), ৬ এপ্রিল মোহাম্মদ ফিরোজ (৪৫), ২৯ মার্চ আবদুস সালাম (৩৭), ২৬ মার্চ মোহাম্মদ বাবু (১৮), ১৪ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম (১৪), ৩ ফেব্রুয়ারি ত্বকী উদ্দিন (২০), ১ ফেব্রুয়ারি নবী হোসেন (৪৮), ২৪ জানুয়ারি পৃথক স্থানে এক দিনে চারজন— মো. রাসেল (২৪), আরিফ উল্লাহ (৩০), আয়াত উল্লাহ (২৫) ও আলী হোছেন (৩২)।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা, ফুলতলী, জারুলিয়াছড়ি, নিকোছড়ি, ভালুখাইয়া, জামগছড়ি এবং কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে শূন্যরেখা থেকে মিয়ানমারের ২০০ থেকে ৩০০ মিটার অভ্যন্তরে গিয়ে আহত হয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে একজন বুকে আঘাত পান। বাকিদের পা ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
সীমান্তের কড়া নিরাপত্তা পেরিয়ে কীভাবে বাংলাদেশিরা শূন্যরেখার ওপারে যান, সে বিষয়ে জানতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একাধিক কর্মকর্তাকে ফোন করা হয়। তবে তাঁদের কেউ কল ধরেননি। জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে ১২০ কিলোমিটারের মতো। সব স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নেই। বিজিবির টহল দলকে ফাঁকি দিয়ে তাই অনেকেই মিয়ানমারের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তাঁরাই মাইন বিস্ফোরণে আহত হচ্ছেন।
ইউএনও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, যাঁরা হতাহত হচ্ছেন, বেশির ভাগই চোরাকারবারি। কেউ যাতে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে জীবনঝুঁকিতে না পড়েন, সে বিষয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
[ad_2]
Source link