বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমির (বিএমএ) ৮৮তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তিনি কৃতি ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব।’
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, সেনাবাহিনী একটি পেশাদার, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র সজ্জিত বাহিনী হিসেবে আরও সুদৃঢ় ও সক্ষম হয়ে গড়ে উঠবে। পরিশেষে তিনি মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য অ্যাকাডেমির কমান্ড্যান্ট, সংশ্লিষ্ট সব অফিসার, জেসিও, এনসিও, সৈনিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।
দীর্ঘ তিন বছরের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে এই মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৮তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সর্বমোট ১৫৫ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে ১২৮ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারী। এছাড়াও কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে ৪ জন ফিলিস্তিনি রয়েছেন, যারা নিজ দেশের সেনাবাহিনীতে যোগদান করবেন।
ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার সম্রাট জাবির, ৮৮তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা চৌকস ক্যাডেট হিসেবে অসামান্য গৌরবমন্ডিত ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য কোম্পানি সিনিয়র অফিসার মো. আব্দুল ওয়াদুদ মাসুম ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। বিদেশি ক্যাডেটদের মধ্যে ফিলিস্তিনের অফিসার ক্যাডেট সার্জেন্ট মোহাম্মদ ইসবে ‘বিএমএ ট্রফি অব এক্সিলেন্স’ লাভ করেন। পরে প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথি এবং প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের পিতা-মাতা ও অভিভাবরা নবীন অফিসারদের র্যাঙ্ক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।
দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তারা, সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের পিতা-মাতা ও অভিভাবক এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে এ বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।