[ad_1]
বান্দরবানে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী হায়দার আলীকে (৩২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে আসামিকে আদালতে তোলা হলে বিচারক অরুণ পাল এই আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হায়দার রাঙামাটির রাইখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের খন্তাকাটা গ্রামের লতিফুর রহমানের ছেলে।
এজাহারে বলা হয়, হত্যার সাত বছর আগে নিহত রুপা আক্তারকে বিয়ে করেন হায়দার আলী। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে স্ত্রীকে নিয়ে চাচির বাড়িতে বেড়াতে যাবেন বলে বের হয়ে যান। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও বাড়িতে ফিরে না আসলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
পরে গত ২০২১ সালের ৮ আগস্ট দুপুরে গলাচিপা মুসলিমপাড়া এলাকায় মুখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় সড়কের পাশের একটি ঝোপ থেকে অজ্ঞাত মরদেহ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগীর পরিবার মরদেহ চিহ্নিত করে সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এ ঘটনায় হত্যার দায়ে থানায় একটি মামলা করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে হত্যা প্রমাণিত হওয়ায় ৩০২ ধারা আইন অনুযায়ী আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নিহতের বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ চার বছর পর আমার মেয়েকে হত্যা করা আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এতে আমি খুব খুশি ও আনন্দিত।’
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আলমগীর চৌধুরী বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের পর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এবং জবানবন্দি শেষে আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।’
[ad_2]
Source link