প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ২১ আগস্ট ২০২৪
আপডেট: ১৭:০৬, ২১ আগস্ট ২০২৪
ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তী মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্কের বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তার আরেক পরিচয় তিনি অভিনেত্রী ঋতাভরী ও চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তীর বাবা। কিন্তু বাবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানেও যাননি তারা।
ভারতীয় গণমাধ্যম আজকাল জানিয়েছে, বাবা উৎপলেন্দুর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না অভিনেত্রী ঋতাভরী। কারণ কলকাতায় ছিলেন না তিনি। শহরে থাকলেও বাবার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যেতেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ বাবার সঙ্গে সম্পর্ক একেবারেই মধুর ছিল না ঋতাভরীর।
অন্য একটি ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ব্যক্তিগত জীবনে পরিচালক শতরূপা সান্যালের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন উৎপলেন্দু। এ সংসারে জন্ম হয় অভিনেত্রী ঋতাভরী ও চিত্রাঙ্গদা চক্রবর্তীর। ২০০০ সালে শতরূপা-উৎপলেন্দুর সংসার ভেঙে যায়। এরপর এই পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না দুই কন্যারও।
গত এপ্রিল মাসে নিজের বাড়িতে পয়ে গিয়েছিলেন পরিচালক উৎপলেন্দু। কোমর ও ডান পায়ে আঘাত পান, ভেঙে যায় হাড়। উৎপলেন্দুর সহকারী অর্ঘ্য মুখার্জি সেই সময় গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, পরিচালকের প্রস্টেটের সমস্যা রয়েছে। ক্যাথিটার খোলার পর বাড়িতে হাঁটার চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়ই তৈরি হয় বিপত্তি। এরই মধ্যে তার স্মৃতিভ্রম শুরু হয়।
হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন থাকতে হয়েছিল তাকে। প্রথমে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়। এরপর অন্য একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্রখ্যাত চিকিৎসক মুকুল ভট্টাচার্য উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর চিকিৎসা করেন। তার চিকিৎসার সব খরচ বহন করে রাজ্য সরকার। মে মাসের শুরুতে বাড়ি ফেরেন পরিচালক। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় চা পান করেন তিনি। তারপরই ঝিমিয়ে পড়েন। দ্রুত চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
১৯৪৮ সালে বাংলাদেশের পাবনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। আশির দশকে ‘ময়নাতদন্ত’, ‘চোখ’, ‘দেবশিশু’-এর মতো চর্চিত সিনেমা পরিচালনা করেন উৎপলেন্দু। জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও তার ঝুলিতে রয়েছে আন্তর্জাতিক পুরস্কার, রাষ্ট্রপতি পুরস্কার ও বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার। তবে গ্ল্যামার দুনিয়ার মূলস্রোতে সেভাবে তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/শান্ত